১৯৩৯ এ পথ চলা শুরু পরাধীন ভারতবর্ষের। স্মৃতি এখনও লেগে রয়েছে প্যাকেটের গায়ে। এক গ্লাস দুধ সাথে দুটো পার্লে জি। ১২ জনের থেকে এখনকার পার্লে কোম্পানি কীভাবে হল জানেন? বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ভারতের এই বিস্কুট। কীভাবে এই স্বদেশী ব্র্যান্ডের জন্ম হয়েছিল? শুরুটা কিন্তু বিস্কুট দিয়ে নয়। প্যাকেটের গায়ে মিষ্টি মুখ ঘিরে আজও এক প্রশ্ন উঁকি দেয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্যাকেটের রং বদেলছে। ডিজাইন বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি পার্লে-জি গার্ল-এর মুখ জানেন পার্লে জি-র প্যাকেটের খুদে মেয়েটি আসলে কে? দেশবাসী যখন বিদেশি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। মোহনলাল দয়াল প্রথম এই বিস্কুট কারখানা করেন। এ জন্য সে সময় জার্মানি থেকে ৬০ হাজার টাকার মেশিন আনা হয়েছিল। কারখানায় ১২ জনকে নিয়ে কাজ শুরু হয়। ১৯৩৯ এ বিস্কুট বানানো শুরু। কিন্তু পার্লে জির এমন নামের পেছনে রহস্যটা আসলে কি?
১৯২৯ সালে ব্রিটেন থেকে ভারতে ক্যান্ডি আর বিস্কুট আসত কিন্তু তা কেনা সাধ্যের বাইরে ছিল। প্রথমে এর নাম দিতে ভুলে গিয়েছিল সকলে। কোম্পানিটি ভিলে পার্লেতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই এর নামকরণ করা হয়েছিল পার্লে। পরে নামটি উচ্চারণে সহজ করার জন্য গ্লুকো পরিবর্তন করে জি করা হয়। একেবারে শুরু থেকেই এই সংস্থা তাদের বিজ্ঞাপনে খুদে একটা মেয়ের ছবি ব্যবহার করে আসছে। যে কোনও দামের পার্লেজি বিস্কুটের প্যাকেটেই সেই ছবি দেখা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্যাকেটের রং বদেলছে, ডিজাইন বদলেছে কিন্তু ওই খুদে মিষ্টি মুখ এখনও একই থেকে গিয়েছে। ওই ছবিটি আসলে কার, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। অনেকেই বিখ্যাত লেখিকা সুধা মূর্তির মুখ বলেন। সুধা মূর্তিকে ছোটবেলায় হুবহু ওরকম দেখতে ছিল বলেই দাবি তোলেন অনেকে।
আসল সত্যি যে এর কোনওটাই নয় তা ফাঁস করেছে খোদ পার্লেজি সংস্থা। তাঁদের দাবি, ঐ ছবি আসলে কোনও ফোটগ্রাফই নই। হাতে আঁকা এক ছবি মাত্র। তাও কোনও বাস্তব চরিত্রকে দেখে আঁকা নয়। সম্পূর্ণভাবে কল্পনার উপর ভর করেই আঁকা হয়েছিল ওই ছবি। পার্লে জি ২০১৩ সালে প্রথম FMCG ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে যা খুচরা বিক্রিতে ৫০০০ কোটি টাকা পেরিয়ে যায়। চীনে অন্য যেকোনও ব্র্যান্ডের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, দেশে প্রতি মুহূর্তে প্রায় ৪৫০০ পারলে জি বিস্কুট খাওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালের নিলসেন রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে পার্লে জি সারা বিশ্বের বড় ব্র্যান্ডগুলিকে পিছনে ফেলেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়