Home আপডেট দুই সন্তান–সহ গৃহবধূর দেহ উদ্ধার জলাশয় থেকে, কালীপুজোর দিন খুনের অভিযোগ মালদায়

দুই সন্তান–সহ গৃহবধূর দেহ উদ্ধার জলাশয় থেকে, কালীপুজোর দিন খুনের অভিযোগ মালদায়

দুই সন্তান–সহ গৃহবধূর দেহ উদ্ধার জলাশয় থেকে, কালীপুজোর দিন খুনের অভিযোগ মালদায়

[ad_1]

সম্প্রতি পানাগড়ের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কেমন করে তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই মালদায় দুই সন্তান–সহ গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ঘটল। তবে এটা খুন বলেই দাবি করছেন মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। আজ, রবিবার সকালে জলাশয়ে চোখ যেতেই আঁতকে উঠলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ এলাকার তিনজনের দেহ ভাসছে জলে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদার রতুয়া–১ ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়লাপাথার গ্রামের ঘটনা। উদ্ধার হয়েছে এক গৃহবধূ ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ। খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, জলে ঝাঁপ দিয়ে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গৃহবধূ।

এদিকে আট বছর আগে মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়লাপাথার গ্রামের বাসিন্দা লোকমান আলির সঙ্গে বিয়ে হয় মালদার মানিকচক থানার ধরমপুরের জেলেখা বিবির। তাঁদেরই এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। মেয়ে মরিয়ম খাতুন ৬ বছর। আর ছেলে মহম্মদ নবি ৪ বছর বয়স। গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, তাঁদের কাছে খবর আসে মেয়ে এবং দুই নাতি–নাতনির দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির কাছের জলাশয় থেকে। ওই তিনজন জলে ডুবে মারা গিয়েছে। ওরা সবাই আত্মহত্যা করেছে।

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম জেলেখা বিবি (২৭), কন্যা সন্তান মরিয়ম খাতুন (৬) পুত্র মহম্মদ নবি (৪)। এদের দেহ স্থানীয় জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেন। তার পর থেকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নেওয়া হচ্ছে। জেলেখার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, মেয়ে এবং দুই নাতি–নাতনিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।

আরও পড়ুন:‌ প্রয়াত কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রাম পেয়ারি রাম, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অবসান

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগের দিন সন্ধ্যায় বিলের ধারে দুই সন্তানকে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ঘুরতে দেখেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। কেন সেখানে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন?‌ সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও উত্তর না দিয়ে চলে যান। তবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্ত নেমেছে পুলিশ। চলছে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ। রতুয়া থানার পুলিশ তিনজনের দেহ উদ্ধার করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here