Home আপডেট পাতালপথে টোকেন বিভ্রাট, তিন লাইনেই চূড়ান্ত নাকাল হলেন মেট্রোর যাত্রীরা

পাতালপথে টোকেন বিভ্রাট, তিন লাইনেই চূড়ান্ত নাকাল হলেন মেট্রোর যাত্রীরা

পাতালপথে টোকেন বিভ্রাট, তিন লাইনেই চূড়ান্ত নাকাল হলেন মেট্রোর যাত্রীরা

[ad_1]

এবার পাতালপথে প্রবেশ করার আগেই বিভ্রাট দেখা দিল। আর তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা। ২০২৪ সালের প্রথম দিনেই দীর্ঘক্ষণ বিকল থাকল মেট্রোয় টোকেন দেওয়ার ব্যবস্থা। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল এখনও ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ে ওঠেনি। যতই স্মার্ট কার্ড, ডিজিটাল টোকেন ব্যবস্থা করা হোক না কেন মানুষ এখনও তা রপ্ত করে উঠতে পারেনি। তবে এই টোকেন বিভ্রাটের জেরে একযোগে মেট্রোর তিনটি লাইনেই—উত্তর দক্ষিণ, ইস্ট–ওয়েস্ট এবং জোকা–তারাতলা রুটে মারাত্মক বিপত্তির মধ্যে পড়েন একাধিক যাত্রী। টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে এই সমস্যা চলেছে বলে অভিযোগ।

এদিকে ১ জানুয়ারি মেট্রোয় করে নানা জায়গায় বেড়াতে বেরোনো অনিয়মিত যাত্রীর সংখ্যাই বেশি ছিল। সেখানে এমন বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় উত্তর–দক্ষিণ মেট্রোর দমদম, বেলগাছিয়া, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, রবীন্দ্র সদন, টালিগঞ্জে যাত্রীদের কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তখন কাগজের কার্ডের টিকিট দিতে শুরু করেন। তাতে সামাল দেওয়া যায়নি এই সমস্যা। ইস্ট–ওয়েস্ট এবং জোকা–তারাতলা মেট্রোর একাধিক স্টেশনে কাগজের টিকিট দেওয়া হয়। তবে তাতে জোগান ঠিক মতো ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ইস্ট–ওয়েস্টের শিয়ালদা, করুণাময়ী, সেক্টর ফাইভ স্টেশনেও দেখা দেয় বিপত্তি। সেখানে স্মার্ট কার্ড, কিউআর কোড নির্ভর কাগজের টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি।

অন্যদিকে দমদম স্টেশনে লোকাল ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরতে আসা যাত্রীদের ভিড়ে স্টেশন চত্বরে লোকে লোকারণ্য অবস্থা হয়ে যায়। প্রত্যেক টিকিট কাউন্টারের সামনে বিরাট লাইন পড়ে যায়। তবে যাত্রীরা ছুটির আবহ থাকায় কেউই বিক্ষোভ দেখাননি। সকালে স্টেশনের বুকিং কাউন্টার খুলতেই মেট্রো কর্মীরা দেখেন, কাউন্টারে যন্ত্র এবং স্টেশনে বসানো স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন থেকে নির্দিষ্ট তারিখ ও দামের টোকেন বেরোচ্ছে না। টোকেন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন থেকেই কাগজের টিকিট চালু করা হয়।

আরও পড়ুন:‌ নন্দিনী চক্রবর্তীর নিয়োগ ‘অবৈধ’, আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর

মেট্রো সূত্রে খবর, আরএফআইডি প্রযুক্তির সাহায্যে টোকেনগুলিতে দূরত্ব ও দামের তথ্য ভরে দেওয়া থাকে সফটওয়্যারে। তাতেই বিভ্রাট দেখা দেয়। সাল ২০২৩ থেকে ২০২৪ হওয়ায় সেখানে তারিখ সংক্রান্ত বিভ্রাট ঘটে। এই পরিস্থিতির খবর পেয়ে দায়িত্বে থাকা সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমের অফিসাররা কাজে নামেন। এই বিষয়ে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বিবৃতিতে বলেন, ‘সফটওয়্যার বিভ্রাটে মেট্রোর তিনটি লাইনেই টোকেন দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ওই সমস্যা মেটে।’ তবে ২০২৩ সালে কলকাতা মেট্রোর উত্তর–দক্ষিণ শাখা ১৭.৬৯ কোটি যাত্রী বহন করেছে। যা ২০২২সালের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here