Home আপডেট পুজোয় ভিড় এড়াতে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে থামেনি ট্রেন, অবশেষে স্বাভাবিক পরিষেবা

পুজোয় ভিড় এড়াতে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে থামেনি ট্রেন, অবশেষে স্বাভাবিক পরিষেবা

পুজোয় ভিড় এড়াতে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে থামেনি ট্রেন, অবশেষে স্বাভাবিক পরিষেবা

[ad_1]

এবছর কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজোয় দর্শনার্থীদের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুধু কল্যাণী বা নদিয়ার মানুষই নয়, বহু জেলা থেকে এমনকী কলকাতা থেকেও প্রচুর মানুষ এবার লুমিনাস ক্লাবের পুজো দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। এতটাই ভিড় হয়েছিল যে তা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকে। শেষে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানো বন্ধ করা হয়। পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে শিয়ালদহ–কল্যাণী সীমান্ত লাইনে স্বাভাবিক হল ট্রেন চলাচল।

আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা আনুন! রাজভবনের পুরস্কার প্রত্যাখান কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের

ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনের তরফে কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে আপ ট্রেন অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী সীমান্তগামী লোকাল ট্রেন না থামানোর জন্য রেলের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেইমতোই ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনও ট্রেন কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে দাঁড় করানো হয়নি। বিকেল ৪ টে থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ থাকে। যদিও ডাউন লাইনে অর্থাৎ কল্যাণী সীমান্ত থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেন কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে দাঁড়িয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা যাতে না হয় তাই পুলিশের সেই পরামর্শ মেনে রেলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পুজো শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার থেকেই ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

উল্লেখ্য, লুমিনাস ক্লাবের পুজো এ বছর ৩১ বছরে পা দিয়েছে । চিনের বিলাসবহুল হোটেল গ্র্যান্ড লিসবোয়া’র আদলে এই ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল। তা দেখার জন্যই কল্যাণী যাওয়ার ট্রেনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা দেয়। শিয়ালদা থেকে কল্যাণী যাওয়ার যতগুলি লোকাল ট্রেন রয়েছে যেমন কৃষ্ণগর, শান্তিপুর, রানাঘাট বা গেদে লোকাল সেই ট্রেনগুলিতে প্রচুর ভিড় হয়েছে। কল্যাণী সীমান্ত লাইনে কল্যাণীর পরেই হল কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন। এই স্টেশনের কাছে রয়েছে লুমিনাস ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। ফলে ওই স্টেশনে নেমে এই ক্লাবের পুজো দেখতে যাওয়ার জন্যই ট্রেনে ভিড় হয়েছিল।

উদ্যোক্তাদের দাবি, এই ক্লাবের পুজো দেখতে চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছেন । প্রসঙ্গত, লুমিনাস ক্লাবে প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ৫০ কিলো সোনার গয়না দিয়ে। লেজার শোয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর একটি নামি সংস্থাকে। সবমিলিয়ে এই পুজোতে খরচ হয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকা। এর আগে গত বছরেও কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজো ছিল দেখার মতো।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here