Home আপডেট বাজির শব্দে ঘোড়ার মৃত্যুর পরেও কেন মামলা রুজু করছে না পুলিশ? সরব পশুপ্রেমীরা

বাজির শব্দে ঘোড়ার মৃত্যুর পরেও কেন মামলা রুজু করছে না পুলিশ? সরব পশুপ্রেমীরা

বাজির শব্দে ঘোড়ার মৃত্যুর পরেও কেন মামলা রুজু করছে না পুলিশ? সরব পশুপ্রেমীরা

[ad_1]

রবিবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের জয়ের পরেই বাজি ফাটানো হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের একটি ঘোড়ার। কিন্তু, ঘটনার দুদিন কেটে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও মামলার রুজু করেনি পুলিশ। এ নিয়ে সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। কেন এই ঘটনায় পুলিশ পদক্ষেপ করছে না? তাই নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এ দিন বাজি ফাটানোর ঘটনার জেরে কলকাতা পুলিশের আরও ২টি ঘোড়া জখম হয়েছে। এছাড়াও ২ ঘোড়সওয়ার আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইডেনের বাজিতে পেয়েছিল ভয়, মৃত্যু মাউন্টেড পুলিশের ৬ বছর বয়সি ঘোড়ার

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঘোড়াটির নাম ভয়েস অফ দ্য রিজন। যদিও এ বিষয়ে মামলা করা হবে কিনা সে বিষয়ে পুলিশের তরফে স্পষ্ট কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত এই নিয়ে তাদের কোনও পরিকল্পনা নেই। এই অবস্থায় মাউন্টেড পুলিশের ঘোড়ার মৃত্যুর পরও কেন পুলিশ চুপ করে বসে রয়েছে? তা নিয়ে বিস্মিত পশুপ্রেমীরা। জানা গিয়েছে, বাজি ফাটানোর জেরে ভয় পেয়ে ঘোড়াটি ছোটাছুটি করতে শুরু করে। এরপর রাস্তায় একাধিক গাড়িতে ধাক্কা মারে। তারপরে হৃদরোগে মৃত্যু হয় ঘোড়াটির। এই অবস্থায় মাউন্টেড পুলিশের ঘোড়াগুলির আওয়াজ সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টিও নিয়েও পুলিশ মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পশুপ্রেমীদের বক্তব্য, একটি অবলা প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলেই নরম অবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

ইতিমধ্যেই ঘোড়সওয়ার বাহিনীর ওসি লালবাজারে এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাতে জানানো হয়েছে, আহত দুই ঘোড়সওয়ারের মধ্যে একজন আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। অন্যজন জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের পশু চিকিৎসক ঘোড়ার মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্তের কথাই উল্লেখ করেছেন। অন্য একটি ঘোড়ার বুকে ৫টি সেলাই করা হয়েছে। আপাতত আহত ঘোড়াগুলিকে বিশ্রামের জন্য রাখা হয়েছে।

যদিও সিএবির দাবি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে অনুমতি নিয়ে বাজি ফাটানো হয়েছিল। অথচ কলকাতা পুলিশ বলছে, এ বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। কোথায় বাজি ফাটানো হবে? তা তাদের জানানো হয়নি। এমনকী সবুজ বাজি ফাটানো হয়নি বলেও দাবি লালবাজারের এক কর্তার। অন্যদিকে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তার দাবি, সিএবি শর্ত মানেনি। পুলিশের এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। তবে এ বিষয়ে সিএবির কোনও কর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পশুপ্রেমীদের মতে, পুলিশের প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি আইনে অবিলম্বে মামলা করা উচিত। যে পশু মারা গিয়েছে সেটি পুলিশেরই। তাই পুলিশের একেবারেই চুপ থাকা উচিত নয়।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here