Home আপডেট বান্ধবীর মোবাইল উপহার নিয়ে বচসায় পরিবার, হুগলিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী আত্মঘাতী

বান্ধবীর মোবাইল উপহার নিয়ে বচসায় পরিবার, হুগলিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী আত্মঘাতী

বান্ধবীর মোবাইল উপহার নিয়ে বচসায় পরিবার, হুগলিতে নবম শ্রেণির ছাত্রী আত্মঘাতী

[ad_1]

মোবাইল নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বচসা ছাত্রীর। আর তার জেরে নির্মম পথ বেছে নিল ওই ছাত্রী। যেটা কল্পনাও করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একটি মোবাইল ফোন দেয় একই স্কুলের উঁচু শ্রেণিতে পাঠরতা ছাত্রী। বান্ধবীর ওই মোবাইল ফোন নিয়েই আপত্তি ছিল পরিবারের। তা নিয়ে বকাঝকা থেকে বচসা দুই হয় নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিবারের। আর তার জেরেই সুইসাইড নোট লিখে রেখে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী। হুগলির চুঁচুড়াতে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ঘটনস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার একটি গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর ওই স্কুলেরই উঁচু শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারপর সেই উুঁচু শ্রেণির ছাত্রীটি নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে আসা–যাওয়া শুরু করে। দু’‌জনে খুব আড্ডা দিত। ছাত্রীর পরিবার প্রথমে আড্ডা–পড়াশোনার আলোচনা মনে করে কিছু বলেননি। পরে তাঁদের মনে হয় ওই উঁচু শ্রেণির ছাত্রীটি নবম শ্রেণির ছাত্রী তথা তাঁদের মেয়ের মাথা খাচ্ছে। মেয়ে পেকে যাচ্ছে। তখন ওই উুঁচু ক্লাসের ছাত্রীকে তাঁদের বাড়িতে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। এতে একটা মনে আঘাত পেয়েছিল ওই নবম শ্রেণির ছাত্রী।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ বাড়িতে আসতে বারণ করে দেওয়ার পরেও স্কুটি চালিয়ে উঁচু ক্লাসের ওই ছাত্রীটি এসে দেখা করে যেত মাঝেমধ্যে। তারপর বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় জানালা দিয়ে গল্প করত তারা। এটা চোখে পড়ে প্রতিবেশীদের। তাঁরা বিষয়টি নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবাকে জানিয়ে দেয়। তখন বাবা তাঁর মেয়েকে আবার ওই ছাত্রীটির সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করেন। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা একটি দোকানে কাজ করেন। তা দিয়েই চলত সংসার। সেখানে মোবাইল ফোন মেয়ের হাতে কার্যত বিলাসিতা। এই নিয়ে বকাবকি করতেই আত্মঘাতী হন নবম শ্রেণির ছাত্রী।

আরও পড়ুন:‌ রবিবাসরীয় থেকেই ৮ জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ–দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকছে সফরসূচি?‌

আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। তাঁর বাবা বলেন, ‘‌শনিবার মেয়ের মা পিকনিকে গিয়েছিলেন। মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। মেয়ের কাছে মোবাইল ফোন দেখতে পাই। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি মোবাইল কে দিয়েছে। ও কিছু বলতে না চাইলেও বুঝতে পারি উঁচু শ্রেণির ছাত্রীটিই যোগাযোগ রাখতে মোবাইল ফোন দিয়েছে। একটু বকাবকি করি। খেয়ে নিতেও বলি। অল্প একটু খেয়ে চলে যায় মেয়ে। একমাত্র মেয়েকে বাড়ি ফিরে রাত ১০টা নাগাদ দেখি আত্মঘাতী হয়েছে।’‌ পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই বিষয়ে উঁচু শ্রেণির ছাত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here