Home আপডেট বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে মা কিচেন থেকে বিনা পয়সায় ডিম ভাত খাওয়ালেন মেয়র পারিষদ

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে মা কিচেন থেকে বিনা পয়সায় ডিম ভাত খাওয়ালেন মেয়র পারিষদ

বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে মা কিচেন থেকে বিনা পয়সায় ডিম ভাত খাওয়ালেন মেয়র পারিষদ

[ad_1]

রাজ্যে দুঃস্থদের ভরপেট খাওয়ানোর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতেই মা কিচেনের রূপদান করা হয়। এই কিচেনে মাত্র পাঁচ টাকায় মেলে পেট ভর্তি খাওয়ার। আর সেই জন্যই রাজ্যে সুনামের সঙ্গে চলছে এই মা কিচেন। তবে এবার পাঁচ টাকা নয়, খাওয়ার মিলল বিনে পয়সায়। মুসুর ডাল, ডিমসেদ্ধ আর ভাত। বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে মা কিচেনের দায়িত্ব নিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ,আর বিনা পয়সায় ডিম-ভাত খেলেন অগুনতি মানুষ। সঙ্গে দু-হাত তুলে করল আশীর্বাদ।

সরকারিভাবে চালু হয়েছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে। কলকাতা পুরসভার হিসাব বলছে প্রতি মাসে তিলোত্তমার নয় লক্ষ দু হাজার ৫১৮ জন মানুষ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ডাল-ডিম-ভাত খান মা কিচেনে। শুরুর দিকে কলকাতা পুরসভার ১৩৩টি জায়গায় চালু হয়েছিল মা কিচেন। এই মুহূর্তে ১৩৮টি জায়গায় চালু রয়েছে মা কিচেন। 

এমনই মা কিচেনে ১ ফেব্রুয়ারি বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনে পয়সায় দুঃস্থদের খাইয়েছেন মেয়র পারিষদ (সমাজ কল্যাণ, নগর দারিদ্র দূরীকরণ) মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাবা প্রয়াত দেবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। 

একবার নিজের জীবন বাজি রেখে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষের। সাহসিকতার জন্য পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও। মেয়ে প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর তাঁর হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন দেবদাস। মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি সিদ্ধান্ত নিই মা কিচেনের দায়িত্ব নেব।’ সেইমতো বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনে মা কিচেনে সমস্ত দরিদ্র মানুষকে বিনে পয়সায় ডাল-ডিম- ভাত খাওয়ানোর ভার তুলে নেন তিনি।

মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, শুধু দরিদ্র মানুষ নন। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের বাইরে মা কিচেনে অগুনতি রোগীর আত্মীয় এই খাবার খান। ভিনরাজ্য থেকে শহরে কাজের খোঁজে এসেও অনেকের ভরসা এই ডিম ভাত। শহরের চালু ১৩৮টি মা কিচেনের মধ্যে ৮টি কেন্দ্র চালু আছে এসএসকেএম, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালে। 

মেয়র পারিষদ এও জানিয়েছেন, বাড়ির যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে অনেকেই দুস্থ দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে চান। তাদের কথা ভেবে নতুন পন্থা এনেছে কলকাতা পুরসভা। এখন যে কেউ চাইলে একদিন মা কিচেনে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিতে পারেন। কীভাবে তা সম্ভব? কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, সরাসরি পুরসভায় এসে কলকাতা পুরসভার সমাজ কল্যাণ এবং নগর দারিদ্র দূরীকরণ বিভাগে দেখা করা যায়। কিংবা সংশ্লিষ্ট মা কিচেনে গিয়েও কথা বলতে পারেন ইচ্ছুক ব্যক্তি।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here