Home আপডেট বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কয়েক ঘণ্টা পরই ‘নিখোঁজ’ ৯!

বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কয়েক ঘণ্টা পরই ‘নিখোঁজ’ ৯!

বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কয়েক ঘণ্টা পরই ‘নিখোঁজ’ ৯!

[ad_1]

নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বেশিরভাগ অপরাধীর কোনো খোঁজ নেই। জানা গিয়েছে, ১১ জনের মধ্যে অন্তত ন’জন দোষী বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে নেই, এমনকী তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।

সোমবার (৮ জানুয়ারী, ২০২৪) এই মামলায় বড়োসড়ো রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, অপরাধীদের ফের জেলে পাঠাতে হবে। এই রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরে, যখন কিছু মিডিয়া গুজরাতের দাহোদে দোষীদের গ্রামে পৌঁছায়, তখন তাদের ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়।

এবিপি নিউজ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এক আসামি রাধেশ্যাম শাহ প্রায় ১৫ মাস বাড়িতে নেই। তার বাবা ভগবানদাস শাহ দাবি করেন, তিনি ছেলের বিষয়ে কিছুই জানেন না। স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে রাধেশ্যাম। মামলার আরেক দোষী সাব্যস্ত প্রদীপ মোধিয়াও বর্তমানে ‘নিখোঁজ’। আরেক দোষী গোবিন্দ নাই না কি এক সপ্তাহ আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। এ রকম ভাবে প্রায় ন’জন আসামি ‘নিখোঁজ’!

এ দিকে, দোষীদের বাড়ির বাইরে একজন কনস্টেবল মোতায়েন করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন না হয়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গুজরাতে দাঙ্গা হয়। ওই সময় গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস বানো। গণধর্ষণের এই ঘটনায়, রাজ্য সরকার ১১ দোষীর সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সোমবার যা সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলার শুনানি হয়। বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে ২০২২ সালে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাত সরকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো। গুজরাত সরকারের আসামীদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে ভুল বলে, ১১ জন আসামিকেই আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের সাজার মেয়াদ পূরণের আগেই মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানায়, ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার, তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। যে হেতু মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে হয়েছে, তাই মহারাষ্ট্র সরকারই পারে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জেলের বাইরে বেরিয়ে আসার পরে দোষীদের ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। বিতরণ করা হয় লাড্ডুও। এমনকি, গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের পাশে একই মঞ্চে দেখা যায় তাদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আরও পড়ুন: বিলকিস মামলার ১১ অপরাধীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, ফের জেলে পাঠানোর নির্দেশ  

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here