Home আপডেট বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধকর দিল্লি, ৫০৪ ছাড়াল একিউআই

বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধকর দিল্লি, ৫০৪ ছাড়াল একিউআই

বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধকর দিল্লি, ৫০৪ ছাড়াল একিউআই

[ad_1]

নয়াদিল্লি: দীপাবলির আগে দিল্লির বাতাস এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যে রাজধানীর কোনো এলাকাতেই শ্বাস নেওয়ার উপযুক্ত নয়। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) মতে, বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি-এনসিআর-এ বাতাসের গুণগত মানের স্তর (AQI) ৫০৪ ছাড়িয়েছে।

দীপাবলির আগে দিল্লিতে ক্রমশ বেড়ে চলা দূষণ সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দিল্লি-এনসিআরের বেড়ে চলা বায়ু দূষণের কারণে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই শ্বাস নিতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বুধবার সকালে দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মানের স্তর ছিল ৪৬০। যেখানে সোমবার দিল্লিতে একিউআই ছিল ৪৫৩। আজ সেটাই পাঁচশোর উপরে চলে গিয়েছে। অর্থাৎ, দিল্লি-এনসিআরে দূষণের মাত্রা দ্রুত বেড়ে চলেছে।

এ দিন আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৫০৪ এবং জাহাঙ্গীরপুরীতে ৪৩৭। যেখানে নয়ডায় এটি ছিল ৪১৫ এবং ফরিদাবাদে ৩২৪। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় রাজধানীর কোনো এলাকাই শ্বাস-প্রশ্বাসের উপযুক্ত নয়। কারণ, বেশির ভাগ জায়গাতেই একিউআউ চারশোর উপরে। তবে আগামী দুই-তিন দিনেও এর উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বায়ু দূষণের উন্নতি করতে পারে। চলতি বছরের অক্টোবরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিল্লির বায়ুর মান ২০২০ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ছিল। ২০২২ সালের অক্টোবরে ১২৯ মিমি এবং ২০২১ সালের অক্টোবর ১২৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেই জায়গায় এ বছরের অক্টোবরে মাত্র ৫.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি ভয়ানক থেকে অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) চারশোর উপরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে দিল্লিবাসীর। রবিবারেও বিষাক্ত ধোঁয়াশার একটি শ্বাসরুদ্ধকর আস্তরণ দিল্লিকে আবৃত করে রেখেছে। চিকিৎসকদের মতে, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যে যা ক্রমশ বেড়ে চলা শ্বাসকষ্ট এবং চোখের রোগের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রর সাংসদপদ বাতিলের সুপারিশ, ৫০০ পাতার রিপোর্ট এথিক্স কমিটির

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here