[ad_1]
কয়েকদিন আগের কথা। ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকে সেটা বাস্তবায়িত করতে উঠেপড়ে লেগে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর হঠাৎ যেন সব থমকে গেল। কেন থমকে গেল? সে উত্তর কেউ দিতে নারাজ। সুতরাং গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ স্থানীয় থানাগুলিতে কলকাতা পুলিশের বোর্ড লাগানো হয়েছিল। এবার সেই বোর্ডের উপর ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। এখন সেগুলি খুলে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এদিকে এখানের মানুষজন আশায় বুক বেঁধে ছিলেন যে, ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় এলে হিংসার বাতাবরণ আর থাকবে না। শান্তি বিরাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর মানুষ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ দিয়েছিলেন। লালবাজারের কর্তারা এসে বৈঠক করেন। তারপর তা নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ে। এমনকী ভাঙড়, কাশীপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা ভেঙে ৯টি নতুন থানা তৈরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তাই থানায় বসে নতুন বোর্ড। কিন্তু আর কোনও কাজ এগোয়নি। তাই ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় এল কিনা জানতে চাইছে ভাঙড়বাসী।
অন্যদিকে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের হাতে এখনও না আসায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের চর্চায় উঠে এসেছে, কেউ কলকাঠি নাড়ছে। তাই এটা এখনও হয়নি। আর অন্য অংশের মত, এটা হোক অনেকে চাইছেন না। তাই এখনও ভাঙড় কলকাতা পুলিশের অধীনে আসেনি। লালবাজারের কর্তারা এই নিয়ে কিছু বলছেন না। পুরো স্পিকটি নট। তাহলে কি পুলিশকর্মীর অভাবে থমকে কাজ? উঠছে প্রশ্ন। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই কিছু বোর্ড ঢেকে রাখা হয়েছে। আর কিছু ক্যামেরা খারাপ হয়েছে। সেগুলি মেরামতি করার পর আবার সংশ্লিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভাতা চেয়ে ফোন করলেন পুরোহিতরা, যোগাযোগ করলেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নম্বরে
আর কী জানা যাচ্ছে? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনের অফিসার জানান, এটা গড়ে তোলা হলে ভাঙড়ের ভালই হবে। কিন্তু কিছু সমস্যা আছে। তাই এখন কাজ থমকে আছে। লালবাজারে যেমন ব্যারাক আছে ভাঙড়ে তেমন ব্যারাক গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য চাই অতিরিক্ত ফোর্স। সেগুলি নিয়ে কিছু জট তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এগুলি মিটে যাবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে। তাই ভাঙড় নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চাইছে নবান্ন।