[ad_1]
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে মামলায় পুলিশের আচারণে বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের নির্দেশ ছাড়া প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না, কোন ফাইনাল রিপোর্টও পেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
গত ৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই চিঠিতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে তাঁর মত প্রকাশ করেন। চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার কথা ছিল। সেই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেছে পুলিশ।
বুধবার সেই চিঠি দেখে বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘এই চিঠি ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ কী আছে?’ জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’
(পডুন। সুপারিশপত্র বাতিল কেন? হলফনামা দিলেও ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখার অভিযোগে ভর্ৎসিত SSC)
এই উত্তর শুনেই বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য প্রাক্তন উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন মানে এমনটা নয় যে এই চিঠির জন্য দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধে যাবে। তিনি পুলিশের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন,’আগে আপনারা ধার যোগ করে দেন, তার পর দেখে এটি তদন্ত যোগ্য অপরাধ কি না। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ বেঁচে নেই। থাকলে কী যে করতেন? তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন। ‘
(পড়ুন। ‘কাকে রক্ষা করতে চাইছে বোর্ড?’ পর্ষদকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা)
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে মোট পাঁচখানা মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে নভেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে। মামলার কেস ডায়রিও তলব করেছে হাইকোর্ট। ১ জানুয়ারি বিকেল তিনটেয় এই মামলার রায় দেবে হাইকোর্ট।
এর আগে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতি মামলায় তাঁকে ১ ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। ভিডিয়ো কনফারেন্সেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ বহাল থাকার কথা জানান বিচারপতি।