Home আপডেট মাছের ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ, পুলিশকে ফোন করলেন মেয়র

মাছের ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ, পুলিশকে ফোন করলেন মেয়র

মাছের ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ, পুলিশকে ফোন করলেন মেয়র

[ad_1]

এবার পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে মাছের ভেড়ি ভরাটের অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে জল গড়াল বহুদূর। কারণ এই কাজ যে তলে তলে চলছিল সেটা এক বাসিন্দা টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফোন করে জানিয়ে দেন। তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের বুকে এমন কাজ হচ্ছে তা তিনি মেনে নিতে পারেননি। বাধ্য হয়ে এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে সরাসরি থানায় ফোন করলেন মেয়র। আর গোটা বিষয়টি জানিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মেয়র।

এই ঘটনা জানাজানি হতেই তোলপাড় হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। গতকাল শনিবার মাছের ভেড়ি বোজানো নিয়ে অভিযোগ আসে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে। এই অভিযোগ শুনেই এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তৎক্ষণাৎ লেদার কমপ্লেক্স থানায় ফোন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন কলকাতার মেয়র। এই দেখে খুশি যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি। তাছাড়া লকাতা শহরের সবুজ রক্ষা করতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম আগে বহুবার নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছেন। কলকাতার বায়ুদূষণ বেড়ে চলেছে। তাতে গাছ না লাগালে ও পুরনো গাছ না বাঁচালে সেই দূষণের মোকাবিলা করা যে সম্ভব নয়, সে কথাও বলেছেন। তারপর মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছ কাটার অভিযোগ আসে।

এদিকে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘের ভেড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ফোন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অনুষ্ঠানে। তাঁর অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই একটি ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বহুতল গড়ে তোলার ছক কষছে একদল প্রোমোটারের বাহিনী। এটা পূর্ব কলকাতার অন্তর্গত জলাভূমি। যার সঙ্গে মানুষের নিবিড় টান রয়েছে। এই অভিযোগ শুনে ফোন করে পুলিশকে মেয়র বলেন, ‘ওই এলাকা থেকে মাছের ভেড়ি ভরাটের অভিযোগ এসেছে। দ্রুত পদক্ষেপ করুন। জায়গাটি আপনাদের না আনন্দপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে তা নিয়ে বিতর্ক করার সময় নেই। দুই থানা সমন্বয় তৈরি করে একযোগে পদক্ষেপ করুন। এখনই অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিন।’

আরও পড়ুন:‌ বিবাহিত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের শ্বশুরবাড়ির জেলায় বদলি, প্রস্তাব গেল নবান্নে

অন্যদিকে তারপরই সেখানে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ অফিসাররা। যিনি ফোন করে মেয়রকে নালিশ করেছেন তাঁর অভিযোগ হাতে নিয়েই এলাকায় ছানবিন শুরু করেছে পুলিশ। কারা এই মাছের ভেড়ি বুজিয়ে ফেলছে?‌ তাদের স্বার্থ কী?‌ খতিয়ে দেখছেন পুলিশ অফিসাররা। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ কথা বলেছে আনন্দপুর থানার সঙ্গে। তারপর আইনি পদক্ষেপ নিতে তদন্তে নেমেছে বলে খবর। এখান থেকে যে তথ্য মিলবে সেটা মেয়রকে জানিয়ে দেবে পুলিশ। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here