Home আপডেট মিড–ডে মিলে এবার পাতে উঠল দেদার বিরিয়ানি, রাজ্য সরকারি স্কুলে তুঙ্গে বিতর্ক

মিড–ডে মিলে এবার পাতে উঠল দেদার বিরিয়ানি, রাজ্য সরকারি স্কুলে তুঙ্গে বিতর্ক

মিড–ডে মিলে এবার পাতে উঠল দেদার বিরিয়ানি, রাজ্য সরকারি স্কুলে তুঙ্গে বিতর্ক

[ad_1]

রাজ্যের সরকারের এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের মিড–ডে মিল দেওয়া হয়। এটা পেতে রোজ স্কুলেও আসেন পড়ু্য়ারাও। আসলে স্কুলছুট আটকাতে এবং পড়ুয়াদের পুষ্টি দিতে এই প্রকল্প চালু হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সেটা চলে আসছে। রাজ্যের নানা স্কুলে মিড–ডে মিলের খাবার নিয়ে নানা অভিযোগও শোনা যায়। আবার মাঝেমধ্যে খবরে উঠে আসে মিড–ডে মিলের খাবারে পোকা, কেঁচো অথবা মরা টিকটিকি মিলেছে। কিন্তু এবার মিড–ডে মিল নিয়ে চমকে দেওয়ার খবর উঠে এসেছে। সেটা হল, পড়ুয়ারা শিক্ষকের কাছে আবদার করেছিল বিরিয়ানি খাওয়ানোর। তাই শিশু মনের কথা রাখতে মিড–ডে মিলে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়। আর তাতেই এখন শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

এদিকে কিছুদিন আগে মিড–ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষা করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। যদিও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। দুর্গাপুজো কাটিয়ে আজ, শনিবার থেকে আবার একসপ্তাহের ছুটি পড়তে চলেছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। পড়ুয়ারা তাই আবদার করে প্রধান শিক্ষকের কাছে। এই আবদার ফেলতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। তাই নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে পড়ুয়াদের পাতে তুলে দেন। প্রধান শিক্ষকের এই বিরিয়ানি খাওয়ানোর ঘটনায় খুশি পড়ুয়ারা। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকে নামাল প্রাথমিক স্কুলে এই ছবি দেখা গিয়েছে। তবে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। ব্লকের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরা আপত্তি তুলেছেন।

অন্যদিকে দুর্গাপুজোর ছুটি কাটিয়ে স্কুলে ফিরে পড়ুয়ারা এমন আবদার করে। বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার বাচ্চারা করলে তা ফেলতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার শুনে শিশু পড়ুয়াদের খুশি করতে রাজি হন শিক্ষকরা। আর তাই স্কুলের চার জন শিক্ষক নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে পড়ুয়াদের জন্য বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। এই স্কুলের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১১৫ জন। আর শুক্রবার এসেছিল ১০৮ জন। ওই ১০৮ জন পড়ুয়াকে বিরিয়ানি নিজের হাতে বানিয়ে খাওয়ালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মণিব্রত মাইতি।

আরও পড়ুন:‌ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করা যাবে সারা বছরই, বিজ্জপ্তি জারি করেছে নবান্ন

ঠিক কী বলছেন প্রধান শিক্ষক?‌ এই ঘটনার কথা পড়ুয়ারা বাড়ি গিয়ে তাদের বাবা–মা এবং আত্মীয়দের জানায়। তাতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্যান্য সরকারি স্কুলের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। এমনকী অনেকে উচ্চস্তরে অভিযোগ করবেন বলেও হুমকি দেন। এই আবহে প্রধান শিক্ষক মণিব্রত মাইতি বলেন, ‘‌পড়ুয়ারা আবদার করেছিল। আমরা তাদের মনের বাসনা বুঝতে পেরেছিলাম। তাই সেই আবদার ফেলতে পারিনি। তখন আমরা চারজন শিক্ষক নিজেরা পকেট থেকে টাকা খরচ করে ওদের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা করি। কালী পুজোর প্রাক্কালে পড়ুয়াদের খুশি করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এতে পড়ুয়ারাও খুশি। ওরা পেটপুরে খেয়েছে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here