[ad_1]
দেবব্রত মোহান্তি
কলকাতা থেকে ওড়িশার পারাদ্বীপের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। আচমকাই আগুন ধরে যায় মাঝরাস্তায়। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৩৪ বছর বয়সি এক মহিলার। তাঁর বাড়ি ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায়। পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুর এলাকায় বাসে আগুন লাগে। অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়।
মৃতের নাম পুষ্পাঞ্জলি দাস। বাসালোর জেলার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাবুঘাট থেকে বাসে চেপেছিলেন তিনি। ছেলে মেয়ে, স্বামীকে নিয়ে তিনি বাসে চেপেছিলেন। রাতে বাসে আচমকাই আগুন লাগে।
আসলে বাসের কেবিনে কিছু বাজি রাখা ছিল। সেখানে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর চলন্ত বাসে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরেই বাসের চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়।
বালাসোরের জেলাশাসক দত্তাত্রেয় বাহুসাহাব শিন্ডে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে বাসে ৩৯জন ছিলেন। তার মধ্যে ৩১জন ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। ৩৬জন যাত্রী জখম হয়েছেন। তার মধ্যে ২৫জন ওড়িশার। তাদেরকে ওড়িশা ফেরানো হচ্ছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরে যাত্রীরা কাঁচের জানালা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। পুষ্পাঞ্জলি তার স্বামীকে বলেছিল তুমি আগে নেমে যাও।এরপর জানালা দিয়ে তিনি ছেলেকে বের করে দেন। এরপর মেয়েকে নিয়ে নিজে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এক বৃদ্ধ দম্পতিকে তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখনই তাঁর শরীরে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার।
প্রসঙ্গত শুক্রবার রাতে জাতীয় সড়কের উপরে বাস জ্বলতে থাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। যাত্রীরা লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। আগুনের লেলিহান শিখায় বাসটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছিল একাধিক দমকলের ইঞ্জিন। তার মধ্যে আগুন নেভাতে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, এই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা যাত্রীর। তবে তিনি পরিবারকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নিজে আর ফিরতে পারলেন না।