Home আপডেট মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা, সিদ্ধান্ত জানালেন এক্স হ্যান্ডেলে

মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা, সিদ্ধান্ত জানালেন এক্স হ্যান্ডেলে

মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা, সিদ্ধান্ত জানালেন এক্স হ্যান্ডেলে

[ad_1]

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যকে মনোনীত করতে আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু আজ বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকক্ষে ডাকা ওই বৈঠকে গেলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ তিনি একাধিকবার বলেছেন, বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয় না। যখন আমন্ত্রণ করা হল তিনি গেলেন না। এমনকী নিজের সিদ্ধান্ত এক্স হ্যান্ডেলে জানালেন।

এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দাঁড়াতে পারবে না বলেই বৈঠক এড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বৈঠকের দিন সকালে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে শুভেন্দু না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিয়োগের বৈঠকের বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। প্রোটোকল অনুযায়ী বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি আমন্ত্রণপত্র পেয়েও আসেননি। টুইট করে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের ডাকা এই বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন না। এই ধরনের কমিশনের সদস্যকে মনোনীত করতে বিরোধী দলনেতাকে রেখে কমিটির গঠন করার প্রথা রয়েছে। যাতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা থাকে। কেন্দ্র–রাজ্যে একই নিয়ম।

এদিকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের নাম ঠিক করতে ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের ১৪ তলায় কনফারেন্স হলে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য গত ১ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয় নবান্ন থেকে। চিঠি পেয়ে শুভেন্দু জানান, বৈঠকে যাবেন কিনা সেটা যথা সময়ে জানাবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে মুখ্যসচিব ছিলেন। তাই তিনি যোগ্যতম প্রার্থী। আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং পুলিশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাঁর সম্যক ধারণা আছে।

আরও পড়ুন:‌ পাতালপথে আবার যান্ত্রিক বিভ্রাট, ভরদুপুরে থমকে গেল ট্রেন, নাকাল যাত্রীরা

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে নিজের না যাওযার কারণ বাতলেছেন। তিনি লেখেন, ‘‌এই বৈঠক আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। কারণ এই বৈঠক ‘আইওয়াশ’। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বেশিরভাগ সময়ে নিষ্ক্রিয় এবং গভীর নিদ্রায় থাকে। এখানকার সদস্যদের নির্বাচন মূলত রাজ্য সরকারের পছন্দ অনুসারেই হয়। তাই এই বৈঠক ডাকা একেবারেই চোখে ধুলো দেওয়া। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেব না। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কোনও কাজ করে না। সারা বছর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। বাংলায় নির্বাচনের পর হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নিজে থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। কমিশনের ভূমিকা ন্যক্কারজনক। তারা সরকারের হাতের পুতুল।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here