[ad_1]
বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময়ে প্রকট হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে। এখনও এই নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের দ্বন্দ্ব অব্যহত। সেই আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে সৌজন্যতা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে রাজ্যের দুই প্রধানের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসলেও গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা গিয়েছে। মমতার শুভেচ্ছাবার্তা সৌজন্যতার বড় পাঠ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তিনি রাজ্যপালকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয় রাজ্যের দুই সাংবিধানিক প্রধানের।
আরও পড়ুন: ‘চিকিৎসা পরিষেবায় সন্তুষ্ট না হলে চিকিৎসক–নার্সদের হেনস্থা হতে হয়’, ফোঁস বোসের
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপালকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন জন্মদিন পালন করতে দুপুর ১টা নাগাদ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমিতে সস্ত্রীক যান রাজ্যপাল। সেখানে বিশেষভাবে সক্ষমদের সঙ্গে কেক কেটে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে নিজের জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এছাড়াও স্কুল কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন। তারপর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির ছাত্রদের সঙ্গে কেক কাটেন।
ররবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের– ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ এই গানে গলা মেলান সস্ত্রীক রাজ্যপাল। এদিন পড়ুয়াদের গভর্নর অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। ১ লক্ষ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়। এছাড়াও দেওয়া হয় সার্টিফিকেট, মেমেন্টো। পড়ুয়াদের জন্য কেক ও মিষ্টি নিয়ে আসেন রাজ্যপাল। মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবও রাজ্যপালকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তবে তারা তাদের কর্তব্যে যাতে অবিচল থাকেন তা স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল। কোনও দুর্নীতি যাতে না হয় সে বিষয়েও সতর্ক করেন।