Home আপডেট রাজভবনের সামনে অবস্থানে প্রাক্তন উপাচার্যরা, চলছে তুমুল বিক্ষোভ–প্রতিবাদ

রাজভবনের সামনে অবস্থানে প্রাক্তন উপাচার্যরা, চলছে তুমুল বিক্ষোভ–প্রতিবাদ

রাজভবনের সামনে অবস্থানে প্রাক্তন উপাচার্যরা, চলছে তুমুল বিক্ষোভ–প্রতিবাদ

[ad_1]

রাজভবনের বিবৃতি নিয়ে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত আজ রাজপথে নেমে এল। আজ, শুক্রবার রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। তৃণমূল আমলে নিযুক্ত উপাচার্যদের সংগঠন দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যরা তুমুল আওয়াজ তুলেছেন রাজভবনের গেটের বাইরে। রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অরাজকতাকে উন্মুক্ত করেছেন আচার্য। উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত পাশ হওয়া বিল নিয়ে অসাংবিধানিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে ধরনার হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও তাঁকে স্বাগত জানান। এই আবহেই এবার রাজভবনের সামনে ধরনায় বসলেন উপাচার্যরা।

এদিকে দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যদের অভিযোগ, ‘‌প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পাশ হওয়া বিলেও সাক্ষর করছেন না। ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত হন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুবোধ সরকার, শিবাজীপ্রতিম বসু, গৌতম পাল, অভীক মজুমদার, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে।

অন্যদিকে আজকের জমায়েত থেকে শিক্ষাবিদদের বক্তব্য, আচার্য কোনও কথার গুরুত্ব দেননি। তাই বাধ্য হয়েই পথে নামতে হল। রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত হওয়ায় জাঁতাকলে পড়েছেন রেজিস্ট্রাররাও। আজ শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী একটি বৈঠক ডেকেছন। দুপুর ২টো নাগাদ বিকাশ ভবনে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে সম্মতি নেই রাজ্যপালের। ফলে ব্রাত্যর বৈঠকে গেলে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে অমান্য করা হবে। তাই সাঁড়াশি চাপে পড়েছেন রেজিস্ট্রাররা। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বাংলায় বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, ‘‌আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ হল, তাঁদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতিপরায়ণ, কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে, কেউ রাজনৈতিক খেলা খেলছিল। এখন আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমন অন্তবর্তী উপাচার্য থাকা উচিত!’‌ আর তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন:‌ ভাঙড়ে ফের কয়েকশো আইএসএফ কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে, ক্ষয়ের মুখে ভাইজানের দল

ঠিক কে, কী বলছেন?‌ এদিনের কর্মসূচি নিয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‌আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি আচার্য তাঁকে খোলা চিঠি দেব। বাংলার কৃতি শিক্ষাবিদরা আজ এখানে এসেছেন। আমরা কোনও মাইকের ব্যবহার করছি না। কোনও ধরনা করছি না। আমাদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, চিঠি এখানে তুলে ধরতে এসেছি। আইন মেনে কাজ করুন। আইন মেনে উপাচার্য নিয়োগ করুন।’‌ সুবোধ সরকারের কথায়, ‘‌আমি তো উপাচার্য নই। উপাচার্য হবোও না। তবু রাস্তায় নামতে বাধ্য হলাম। কারণ, আমি একজন অধ্যাপক হিসাবে মনে করি রাজ্যপাল যা করছেন তাতে ওনাদেরই দফতর ইউজিসি’‌র নিয়ম মানছেন না। নিশুতি রাতে উনি উপাচার্য করে দিচ্ছেন। এটা বিচিত্র।’‌ আর শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘‌সব ধরনের শিক্ষা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এটা না কাটানো গেলে বাংলা মুখ থুবড়ে পড়বে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here