Home আপডেট শহরে পুকুর সমীক্ষার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা, বড় পদক্ষেপ করলেন মেয়র

শহরে পুকুর সমীক্ষার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা, বড় পদক্ষেপ করলেন মেয়র

শহরে পুকুর সমীক্ষার উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা, বড় পদক্ষেপ করলেন মেয়র

[ad_1]

দিনদুপুরে কি পুকুর চুরি হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে শহরজুড়ে। কারণ কলকাতা পুরসভা এবার মহানগরীতে কত পুকুর আছে, তার সমীক্ষা চালাতে উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই সমীক্ষা চালিয়ে যে তথ্য উঠে আসবে সেটা ‌পরিসংখ্যান দিয়ে জানাবে কলকাতা পুরসভা। এই গোটা প্রক্রিয়াটির কথা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন নগরায়ণ করতে গিয়ে পুকুর বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুরসভার কাছে। তারপরই এমন পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা।

এদিকে পুকুর ছিল, কিন্তু হঠাৎই দেখা গেল সেটি নেই। অর্থাৎ স্থানীয়দের অজান্তেই তা মাটি ফেলে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। তারপর সেখানে গড়ে উঠছে বহুতল। এলাকার স্থানীয় মানুষজন কলকাতা পুরসভার কাজ চলছে মনে করে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেন না। ফলে নিশ্চিন্তে পুকুর চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, বোরো–১৫ এলাকার অধীনে কতগুলি পুকুর রয়েছে সেটা জানানো হবে। একটি তালিকা প্রকাশ করে মেয়র জানান, গার্ডেনরিচ এলাকার একাধিক ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৪৩২টি পুকুর রয়েছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে প্রতিটি বোরো এলাকায় কতগুলি পুকুর আছে সেটা জানানো হবে।

অন্যদিকে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে একাধিক ফোন পান মেয়র। সেখানেই এই পুকুর চুরির অভিযোগ জানান বহু বাসিন্দা। তারপর থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা শহরে পুকুর বুজিয়ে বহুতল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পান খোদ ফিরহাদ হাকিম। তখন থেকেই তাঁর নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলসম্পদ বিভাগ এবং রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের যৌথ উদ্যোগে একবছর ধরে শহরে পুকুরের উপর সমীক্ষার কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি ওই দুই বিভাগ পুরসভাকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুধু গার্ডেনরিচ এলাকার চারটি ওয়ার্ডে ভরাট করা হয়েছে ২৩০টি পুকুর।

আরও পড়ুন:‌ রাজনীতিবিদ হয়েও নাট্যমঞ্চে সাড়া ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী, কুড়ালেন প্রশংসা

এই তথ্য দেখে টনক নড়ে যায় কলকাতা পুরসভার। শুধু তাই নয়, সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইএম বাইপাস সংলগ্ন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর, দিঘি এবং ভেড়ি মিলিয়ে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে ২১০টি জলাশয়। যেখানে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে এই জলাশয়গুলি বাঁচানোর জন্য। সমীক্ষা রিপোর্টে বন্দর এলাকার মেটিয়াবুরুজের রাজাবাগান ও নাদিয়াল থানা এলাকায় পুকুর ভরাটের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এটি খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর গার্ডেনরিচ এলাকায় এমন অভিযোগ উঠেছে সবচেয়ে বেশি। তাই দ্রুত কলকাতা পুরসভাকে দিয়ে বোরো–১৫ এলাকায় কত সংখ্যক পুকুর আছে সেটা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here