Home আপডেট ‘‌শান্তনু একটা মদখোর গাঁজাখোর’‌, বিজেপি বিধায়কের অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস, অস্বস্তিতে দল

‘‌শান্তনু একটা মদখোর গাঁজাখোর’‌, বিজেপি বিধায়কের অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস, অস্বস্তিতে দল

‘‌শান্তনু একটা মদখোর গাঁজাখোর’‌, বিজেপি বিধায়কের অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস, অস্বস্তিতে দল

[ad_1]

লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এক অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বনগাঁ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তিনি আবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কেন্দ্রেই আছে গোষ্ঠীকোন্দল। যেটা চরমে উঠেছে। এবার ভোটের আবহে শান্তনু ঠাকুরকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করলেন দলেরই বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি বিজেপির হরিনঘাটার বিধায়ক। তাঁর একটি অডিয়ো ক্লিপ এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যার জেরে তোলপাড় হয়েছে বনগাঁর রাজনীতি। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপ যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।

এদিকে ওই অডিয়ো ক্লিপে শান্তনু ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে শোনা যাচ্ছে বিধায়ক অসীম সরকারকে। এমনকী শান্তনু ঠাকুরকে ভোট না দেওয়ার কথা সেখানে বলেছেন অসীমবাবু। যদিও অসীম সরকারের দাবি, ওই অডিয়ো ক্লিপটি বহু পুরনো এবং তাঁকে চাপ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ফোনে ওই কথা বলিয়ে নিয়েছিল। তবে বনগাঁর মানুষ এই কথা বিশ্বাস করতে রাজি নন। তাঁরা মনে করছেন ইচ্ছা করেই অসীম সরকার এমন মন্তব্য করেছেন। কারণ সিএএ নিয়ে এখন দ্বিধাবিভক্ত মতুয়া শিবির। সেখানে এমন মন্তব্য এবং তার অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস শান্তনুকে বেশ বিপাকে ফেলবে লোকসভা নির্বাচনে। হরিণঘাটা নদিয়ায় হলেও উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।

আরও পড়ুন:‌ বসিরহাটে অভিষেকের সভা নিয়ে প্রস্তুতি চরমে, জনসমাগম কত হবে?‌ ধোঁয়াশা দলে

অন্যদিকে ওই অডিয়ো ক্লিপে হরিনঘাটার বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‌কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আসলে গাঁজাখোর। বাগদা, হেলেঞ্চা এলাকায় আমার অনেক অনুগামী আছে। তাঁদের আমি বলে দিয়েছি, শান্তনুকে কেউ ভোট দিবি না। ও হচ্ছে একেবারে (ছাপার অযোগ্য শব্দ)। মদখোর, গাঁজাখোর। ওর বাবা এখনও গাঁজা ছাড়া বাঁচে না।’‌ তবে দলের সাংসদ তথা প্রার্থীর এভাবে বিরোধিতা করেছেন অসীম সরকার বলে মনে করছেন অনেকে। আর সেটা লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। অসীমের সঙ্গে শান্তনুর দূরত্ব সম্প্রতি বেড়েছে। তাই ২০২৩ সালের শেষে দলের উদ্বাস্তু সেলের ব্যানারে শান্তনুকে বাদ রেখেই অসীম মিটিং করেছিলেন।

এছাড়া বনগাঁয় বিজেপির কোন্দল এখানে নতুন নয়। এখানের বিজেপি কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। একদিকে শান্তনু ঠাকুর গোষ্ঠী। অপরদিকে অসীম সরকার, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ারা আছেন। দেবদাস মণ্ডলরা এই অস্বস্তি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও লোকসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে এই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় চাপ বাড়বে বিজেপির বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অসীম সরকারের বক্তব্য, ‘‌২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে ভয় দেখিয়ে এই কথা বলতে বাধ্য করেছে। আমার স্ত্রীকে অনেক দূরের জেলার স্কুলে বদলি করে দেবে বলেছিল। ভোট এলেই ওই পুরনো রেকর্ডিং ওরা চালাচ্ছে।’‌ পাল্টা বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের ভয় দেখানোর প্রশ্নই আসে না। এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফসল।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here