Home আপডেট বসিরহাটে অভিষেকের সভা নিয়ে প্রস্তুতি চরমে, জনসমাগম কত হবে?‌ ধোঁয়াশা দলে

বসিরহাটে অভিষেকের সভা নিয়ে প্রস্তুতি চরমে, জনসমাগম কত হবে?‌ ধোঁয়াশা দলে

বসিরহাটে অভিষেকের সভা নিয়ে প্রস্তুতি চরমে, জনসমাগম কত হবে?‌ ধোঁয়াশা দলে

[ad_1]

আজ, বুধবার বসিরহাট স্টেডিয়ামে জনসভা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই লোকসভা কেন্দ্রকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানের সন্দেশখালিতে ঘটে গিয়ে হিংসার ঘটনা। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। সন্দেশখালি এখানে বাড়তি গুরুত্ব পাবে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এই সন্দেশখালিতেই বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা হল—সন্দেশখালি থেকে লোক জড়ো করবে কে?‌ টাকা আসবে কোথা থেকে?‌ এই প্রশ্ন উঠছে কারণ শাহজাহান–সহ অনেকেই এখন সিবিআই হেফাজতে।

এদিকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাজি নুরুল ইসলাম এখানের প্রার্থী। অন্যরা এখনও তা ঘোষণা করতে পারেনি। এই আবহে এমন সভা নিয়ে সন্দেশখালির বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘আমি আর্থিকভাবে দুর্বল। তারপরও যতটা পারছি, খরচ করছি। চাঁদা তুলছি। কমপক্ষে ১০ হাজার লোককে তো নিয়ে যেতে হবে।’ ইতিমধ্যেই বসিরহাটে স্টেডিয়ামের মাঠ ফ্লেক্স, হোর্ডিং এবং মাইক লাগিয়ে প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার অভিষেকের সভার প্রচার হয়নি। এখানে সভাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং পুলিশ অফিসাররা। এই বিষয়ে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। সন্দেশখালিতে নানা কাণ্ড ঘটিয়েও বিরোধীরা কিছু করতে পারেনি। সেটার প্রমাণ মিলবে এই সভায়।’

আরও পড়ুন:‌ ‘‌ঘৃণ্য চক্রান্তকারীদের মুখোশ অচিরেই খুলে যাবে’‌, কড়া বার্তা দিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

অন্যদিকে এখানের সভায় বিরোধীদের চক্রান্ত–ষড়যন্ত্র ফাঁস করবেন অভিষেক বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা সভাকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে ৪০টি বাস ভাড়া করেছে। ১০০টি ছোট গাড়িও রাখা হচ্ছে। তবে এই সভার জন্য বাস চাওয়া হয়নি। তাহলে কি লোক জড়ো করা যাচ্ছে না?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সন্দেশখালির একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গড়ে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এই হিসাব ধরলে অভিষেকের সভায় সন্দেশখালি বিধানসভা থেকে সব মিলিয়ে সাড়ে ছ’হাজারের কিছু বেশি মানুষ যেতে পারেন।

এছাড়া এই সভায় জনসমাগমের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কতটা গুছিয়ে উঠতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস সেটাও সভার ভিড় থেকে প্রমাণ হয়ে যাবে। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা থেকে যে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবটা মিলিয়ে দেখবেন অভিষেক। সন্দেশখালি–২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিটি তৈরি হলে প্রচার করতে ও ভোট কৌশল ঠিক করতে সুবিধা হয়। অভিষেকের সভার পরে নির্বাচন কমিটি তৈরি হবে।’‌ সিপিএম–বিজেপি অবশ্য একযোগে বলছে, অভিষেকের সভায় লোক হবে না।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here