ওয়েব ডেস্কঃ আমরা সকলেই হাই তুলি। তা সে ছোট্টটির থেকে বয়স্ক সক্কলেই। হাই তোলাটা সকলেরই অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। মানুষ ও প্রাণীর হাই তোলার কিছু কারণ রয়েছে। যখন আমরা অবসাদগ্রস্থ বা ক্লান্ত হয়ে যাই, শরীরে বিশেষ করে মাথায় ঠিক মতো অক্সিজেন পৌঁছায় না। মাথা অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি কমে যায়। ঠিক সেই সময় শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হাই তোলা। তাতে শরীরের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেরে যায়। কার্বন ডাই অক্সাইড কমতে থাকে।
অনেকে বলেন অলস হলে হাই উঠবে। আসলে তা নয়, চোয়াল তার পেশীকে স্ট্রেচ করে। ফলে পেশি ও জয়েন্ট অনেকটা ফ্লেক্সিবেল হয়। হৃদপিন্ডের গতি ঠিক হয় এবং আমরাও জেগে উঠে, সচেতনতা বোধ করি।
গবেষণা বলছে আবহাওয়া একটা ভূমিকা গ্রহণ করে। পারিপার্শ্বিক ঠান্ডা আবহাওয়াতে হাই বেশি ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা আবহাওয়াতে ৪৫ শতাংশ মানুষ হাই তোলেন, যেখানে গরমে ২৪ শতাংশ মানুষ হাই তোলেন। প্রাণীরাও বাদ যায় না, ইঁদুরের উপর করা গবেষণায় দেখা গেছে তারা ঠান্ডায় গরমের তুলনায় বেশি হাই তোলে।
হাই তোলা জন্মের এক থেকে দুই বছরের পর থেকেই “সংক্রামক” হয়ে উঠে। যদি একটি স্থানে এক জন হাই তোলেন, সেই স্থানের বাকি অর্ধেক লোকও পাঁচ মিনিট এর মধ্যে হাই তুলবে, বাকিরা হাই না তুললেও তাদের হাই পাবে। এটি অন্যান্য পশুদের মধ্যেও দেখা যায়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হাই লম্বা হয়। গড়ে হাই তুলতে আমাদের ছয় সেকেন্ড সময় লাগে।
ঘন ঘন হাই তোলার কিছু কারণ……
(Fatigue)অবসাদ এবং ঘুম পাওয়া
ঘুম এর পরিমাণ কমে যাওয়া
দীর্ঘ সময় না ঘুমানো
স্ট্রেস
Sleep apnea
টানা ঘুম না হওয়া
রক্তে অপর্যাপ্ত অক্সিজেন
বোরড হওয়া
কিছুক্ষন আগে হাই তোলার কথা মনে পড়া/ অন্য কাউকে হাই তুলতে দেখা।
Opioid জাতীয় নেশার Withdrawal ইফেক্ট
মাইগ্রেন
মাথাব্যথা
মৃগীরোগ
Brainstem-এ ক্ষতি
কিছু কার্ডিয়াক কন্ডিশন
উল্লেখ্য, যদি আপনি ঘন ঘন হাই তুলতেই থাকেন, বা অন্যান্য মানুষের তুলনায় বেশি হাই তুলেন, সেটা কোন মেডিকাল কন্ডিশনের সিম্পটম হতে পারে। কাজেই কেউ যদি আপনাকে বলে বা আপনার নিজের যদি মনে হয়, আপনি অন্যদের তুলনায় বেশি হাই তুলছেন, সেক্ষেত্রে, আপনি একজন ডাক্তার দেখাতে পারেন।
তাই মজার বিষয় হল হাই কিন্তু সংক্রামক! আমরা কাউকে হাই তুলতে দেখলে একটু পরে আমরাও হাই তুলবই এটাই মোদ্দা কথা। আবার হাই তোলার কথা চিন্তা করলেও হাই ওঠে। আপনিও কী এই লেখাটি পড়তে পড়তে হাই তুলছেন নাকি!