Home আপডেট ‘সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়, নিজের সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার সকলের’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে প্রধান বিচারপতি

‘সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়, নিজের সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার সকলের’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে প্রধান বিচারপতি

‘সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়, নিজের সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার সকলের’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে প্রধান বিচারপতি

[ad_1]

সুপ্রিম কোর্ট। প্রতীকী ছবি

নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের। কার্যত সমকামী নারী-পুরুষের বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে সওয়াল করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং আরও চার বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সংসদের কোর্টেই ঠেলে দিল সর্বোচ্চ আদালত।

টানা ১০ দিনের শুনানি পর্বের শেষে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ১১ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে সেই সময়সীমা। সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্যেরা হলেন, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এস নরসিংহ।

জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সমলিঙ্গ সম্পর্কের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য কেন্দ্র যে কমিটি গড়েছে, এ বিষয়ে সেই কমিটির অগ্রসর হওয়া উচিত। রায় পড়ে শোনাতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনড়, অটল বিষয় নয়। বিবাহে বিবর্তন আসে। সতীদাহ প্রথা থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ এবং আন্তঃবর্ণ বিবাহ পর্যন্ত, বিয়ের রূপ পরিবর্তিত হয়েছে।’’

একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, “ভালবাসা মানবতার মৌলিক গুণ। বিয়ে করার মধ্যে কোনো মৌলিক অধিকার নেই”। তিনি বলেন, “মানুষ জটিল সমাজে বাস করে। আমাদের একে অপরের সঙ্গে ভালবাসা এবং সংযোগ অনুভব করার ক্ষমতা আমাদের মানবিক অনুভূতির অংশ। একটি পরিবারের অংশ হওয়া প্রয়োজন। কারণ একটি মূল মানবিক বৈশিষ্ট্য এবং আত্ম-বিকাশের এটা জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রধান বিচারপতির কথায়, “জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন সঙ্গী বেছে নেওয়ার এবং সেই সঙ্গীর সঙ্গে বসবাস করার ক্ষমতা জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের পরিধির মধ্যে আসে। সমস্ত মানুষেরই তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। সমকামী সম্প্রদায়-সহ সমস্ত ব্যক্তিরই তাদের সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে।”

সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “সমলিঙ্গ শুধুমাত্র শহুরে এলাকায় সীমাবদ্ধ, এমন কথা বলা ঠিক হবে না। এটা যে শুধু শহুরে অভিজাতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তাও নয়। প্রকৃতপক্ষে, গ্রামে কৃষিকাজে নিয়োজিত একজন মহিলাও নিজেকে সমকামী বলে দাবি করতে পারেন। শহরে বসবাসকারী সবাইকে অভিজাত বলা যায় না। সমকামিতা কোনো মানসিক রোগ নয়।”

কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে, সমকামী ব্যক্তিদের যৌন অভিমুখতার ভিত্তিতে যাতে বৈষম্য না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন প্রণয়নের এক্তিয়ার আদালতের নেই, তবে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারে।

প্রধান বিচারপতির ব্যাখ্যা, “বিশেষ বিবাহ আইন (SMA) শুধুমাত্র সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় না বলে তা অসাংবিধানিক হতে পারে না। এসএমএ-তে পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা তা সংসদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব। আদালতের কোনো অধিকার নেই।”

আরও পড়ুন: হামাস সংঘাতের মধ্যেই ইজরায়েল যাচ্ছেন জো বাইডেন, নেপথ্যে কী পরিকল্পনা

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here