Home আপডেট সমুদ্রের উপর ছুটবে গাড়ি, ভারত গড়ছে নতুন নজির! হাঁ হয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব

সমুদ্রের উপর ছুটবে গাড়ি, ভারত গড়ছে নতুন নজির! হাঁ হয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব

সমুদ্রের উপর ছুটবে গাড়ি, ভারত গড়ছে নতুন নজির! হাঁ হয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব

[ad_1]

গোটা বিশ্বে নজির গড়তে চলেছে ভারত। গভীর সমুদ্রের উপর তৈরি করে ফেলেছে বিশাল বড় সেতু। অপেক্ষায় দিন গুনছে গোটা দেশ। কবে উদ্বোধন হবে? কবেই বা এই সেতুর উপর দিয়ে ছুটবে দুরন্ত গতির গাড়ি? সমুদ্রের উপর রয়েছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ। এটা কি কম বড় কথা? কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৯০% এরও বেশি। এই সেতু সংযোগ স্থাপন করবে মুম্বাই এবং নাভি মুম্বাইয়ের মধ্যে। মাত্র কুড়ি মিনিটেই মুম্বাই থেকে পৌঁছে যাবেন নাভি মুম্বাইয়ে। বলা হচ্ছে, মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্কের কথা, যা তৈরি হচ্ছে আরব সাগরের বুকে।

এই সমুদ্র সেতুতে রয়েছে বিশেষ লাইট পোস্ট। যা খারাপ আবহাওয়াতেও ভালো থাকবে। মুম্বাই ট্রান্স হারবার প্রভাব ফেলতে পারে দেশের জিডিপিতে। মুহূর্তে হয়ে যেতে পারে গেম চেঞ্জার। জাপানের আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেতুতে আগামী ১০০ বছরেও কোন ক্ষতি হবে না। খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। অধিকাংশ টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি। সেতুটির মাধ্যমে তিন ঘন্টার রাস্তা কমে দাঁড়াবে মাত্র কয়েক মিনিটে। দূষণ কমবে, বাঁচবে জ্বালানির খরচ, কর্মসংস্থান হবে প্রচুর। সেতুর টোল ব্যবস্থা এক্কেবারে সিঙ্গাপুরের মতো। টোল দেওয়ার জন্য কোন গাড়িকে দাঁড়াতে হবে না। সিঙ্গাপুরের মতো রয়েছে ওপেন রোড টোলিং ব্যবস্থা। মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক বদলে দেবে বাণিজ্য নগরী মুম্বাইকে। মানুষের পেট্রোল খরচ আর সময় বাঁচবে, আবার দূষণও হবে না, দূর হবে যানজটের অসহ্যকর ভোগান্তি। যুক্ত হবে আট লেনের কোস্টাল হাইওয়ের সঙ্গে। এটিতে থাকবে ছ’টি লেন বা উপপথ, যা চওড়ায় প্রায় ২৭ মিটার। পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য থাকবে দুটি প্রস্থান লেন।

মুম্বাই ট্রান্স হারবার সংযোগ প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই ১৯৯০ এর দশকে। তারপর সামনে এসেছে নানান বাধা । সেই সমস্ত বাধা জয় করে ২০১৬ সালে সেই প্রকল্পকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০১৮ সালে মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্কে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মুম্বাই ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টার দ্বারা সিসিটিভির মাধ্যমে মুম্বাই ট্রান্স হার্বার লিঙ্কে ট্রাফিক পরিচালনা হবে। এখানে পরিযায়ী পাখিদের দেখার জন্য থাকবে একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম।

এই বিশাল লম্বা সেতু নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে কম আগ্রহ নেই। সব থেকে খুশির হাওয়া বইছে মুম্বাই থেকে পুনে যাওয়ার যাত্রীদের মধ্যে। মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত এই মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্কের নির্মাণ কাজ শেষ হলে যাত্রীরা মাত্র ৯০ মিনিটে মুম্বাই থেকে পুনে যেতে পারবেন।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here