[ad_1]
শিশুকন্যার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়েছে হাওড়া সাঁকরাইল থানা অন্তর্গত রাজগঞ্জ বানিপুর এলাকা থেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকায়। কে বা কারা শিশুকন্যাকে ফেলে গিয়েছে? তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৬ বছরের শিশুকন্যা নিখোঁজ ছিল একদিন আগেই। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে আশেপাশের এলাকায় খোঁজা হয়। কিন্তু তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় থাকা মসজিদ থেকে দু’বার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে মিলল। তবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল।
এদিকে শিশকন্যার বাড়ির লোকজন পরে খবর পান যে, গঙ্গার ধারে একটি বস্তা থেকে বাচ্চার দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যান তাঁরা। আর খবর দেওয়া হয় সাঁকরাইল থানায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন সাঁকরাইল থানার অফিসাররা। তারা সেই বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাজি এসটি মল্লিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ৬ বছরের আলিয়া খাতুন। রাত হলেও মেলেনি কোনও খোঁজ। বাড়ির লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছিলেন। তারপরই তাঁরা যখন থানায় যাচ্ছিলেন তখন তাঁদের কাছে খবর আসে গঙ্গার ধার থেকে বস্তাবন্দি একটা বাচ্চার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
অন্যদিকে পরিবার সূত্রে খবর, পড়াশোনা শেষ করে শনিবার বিকেল ৫টার সময় বাড়ির সামনে খেলছিল মেয়েটা। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণে যাওয়ার ছিল। তাই বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। কিন্তু কোন সন্ধান না পেয়ে তারা সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের কাছে খবর আসে ও তাঁরা ঘটনাস্থলের ছুটে যান। একটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে সেই মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: তিনজন বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে, শুভেন্দুর জেলায় নামল বড় ধস
আর কী জানা যাচ্ছে? কেউ বা কারা মেয়েটিকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অনুমান করা হচ্ছে। তারপর খুন করা হয়। প্লাস্টিকের বস্তা থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় তার শরীরের নীচের দিকে কোনও কাপড়ই নেই। সেটাই আরও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। অপরাধীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এলাকার মানুষের কাছে। মেরে ফেলার আগে অপরাধীরা কোন নোংরামি করেছে কিনা তা এখনও অস্পষ্ট নয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার পর তাকে খুন করা হয়েছে। যাতে সে লোকটিকে চিনতে না পারে।