[ad_1]
জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে তিন বছর পর শান্তিনিকেতনে ফেল অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৌষমেলা। রবিবার ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন পর্যন্ত বিশ্বভারতী এই মেলার আয়োজন করত। এবার মেলার আয়োজনে করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
এর আগে গতকাল পৌষ উৎসবের শুরু হয় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে। সকাল ৬ টায় শান্তিনিকেতন সানাই এবং ছাতিমতলায় ৭টায় উপাসনা হয়। বাউল গানের মধ্যে দিয়ে সকাল ১১টা নাগাদ পৌষমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এছাড়া দুপুর ৩টে থেকে আম্রকুঞ্জে আশ্রমিক সংঘের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টায় ছাতিমতলা এবং উদয়নে আলোকসজ্জা। রাত ১০টা মেলা প্রাঙ্গণে যাত্রানুষ্ঠান রয়েছে।
মেলার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে বলেন, ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ, আমার মন ভোলায় রে। এই গানটি আজও আমাদের কাছে সমাদৃত এবং বিশ্বজনিন। কবিগুরুর অবদান বিশ্বের কাছে অবদান রয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বেলন, ‘কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই স্থানকে কলুষিত করুক আমরা সেটা চাই না। তাই ভালবাসার সঙ্গে, সতর্কতার সঙ্গে এই মেলা পরিচালনা করতে হবে।’
২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বভারতী মেলা করবে না তা জানার পরই জেলাপ্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন মেলা করার। তা পূর্বপল্লীর মাঠে করার কথাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো পর্বপল্লীর মাঠেই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পৌষমেলায় হস্তশিল্পীদের জন্য বিশেষ প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মেলার সুরক্ষার জন্য ১৬০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মেলার মধ্যে থাকছে ওয়াচ টাওয়ার, বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
পৌষমেলার রুট ম্যাপও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে দূরদূরান্ত মেলা দেখতে আসা মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। মেলায় কোথায় কী রয়েছে সেটাও এই ম্যাপের মধ্যে দেওয়া হয়েছে।
করোনার সময় প্রথম বন্ধ হয়ে যায় পৌষমেলা। পরপর তিন বছর বন্ধ ছিল মেলা। মাঝে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দিকে আঙুল ওঠে মেলা না কার জন্য। এ বছর মেলা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন ছিল। বিশ্বভারতীর পক্ষে মেলা করতে না চাওয়ায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসনই দায়িত্ব নেয় মেলা করার।