[ad_1]
চীনের দম্ভ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে ভারতের আইএনএস কৃপাণ। বেইজিং এর বড় শত্রুকে ব্রহ্মাস্ত্র উপহার ভারতের। সাগর সংগ্রামে চীনকে কোণঠাসা করার বড় কৌশল নয়া দিল্লির। কেন ভিয়েতনামের উপর এত সদয় মোদী সরকার? ভারতের সঙ্গে ভিয়েতনামের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার। এশীয় দেশগুলোকেই টার্গেট করছে নয়াদিল্লি। “শত্রুর শত্রু বন্ধু” নীতিতেই চীনকে ঝটকা ভারতের। চীনকে ঢিঁঢ করতে ভিয়েতনামকে আইএনএস কিরপাণ ‘উপহার’ দিল ভারত। যে মিসাইল কর্ভেটটা ভারত সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী ১৩৫০ টনের যুদ্ধজাহাজ কিরপাণ। ভারতের এই সাধের সম্পদে সমৃদ্ধ ভিয়েতনামের নৌবাহিনী। এক ধাক্কায় ক্ষমতা বাড়ল অনেকটা। খেলা জমবে সাগরে। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও বাড়াবে ভারত ভিয়েতনাম দুই দেশের।ভারতের সার্বভৌমত্বকে লাগাতার চ্যালেঞ্জ করছে চীন। নয়াদিল্লির উদ্বেগ উসকে ভারত মহাসাগরে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ‘ড্রাগন’। দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে লালফৌজ। বিপন্ন হচ্ছে ‘ওপেন ট্রেড রুট’ মানে মুক্ত বাণিজ্যপথ। না, চুপ করে বসে দেখবে না ভারত। তাই, ভিয়েতনামকে রণতরী উপহার দিয়ে চীনের আস্ফালন গুঁড়িয়ে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি নিল মোদী সরকার। কারণ, প্রতিবেশী ভিয়েতনামের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। কে না জানে দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় গোটাটাই নিজেদের বলে দাবি করে চীন।
২০১৪ সালে চীনের একটি খনিজ উত্তোলনকারী জাহাজ ভিয়েতনামের জলসীমায় ঢুকে খনন শুরু করে, যে ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০২০ সালে দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের সবথেকে বড় দ্বীপ উডি আইল্যান্ডে চীনা ফৌজের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের জেরে বেজিং-হ্যানয়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। ২০২২ সালে ভিয়েতনামের উপকূলে নৌযুদ্ধের মহড়া শুরুর কথা ঘোষণা করে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’। ওই এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধের ফরমানও জারি করা হয়। ফলে, চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভিয়েতনাম।ভিয়েতনাম সরকারের অভিযোগ, নিয়মিতভাবে ভিয়েতনামের এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জ়োনে যুদ্ধজাহাজ পাঠায় চীন। যা নিয়ে বহু দিন ধরেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
আসলে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ নতুন নয়। এর আগেও ওই এলাকায় একতরফা পদক্ষেপ করেছে বেইজিং। যা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ জানিয়ে আসছে ওই সাগরের আশপাশে থাকা দেশগুলো। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলোর অভিযোগ, ওই সাগরকে নিজেদের ‘সাম্রাজ্য’ হিসাবে ব্যবহার করছে বেজিং। এদিকে, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক অনেক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে। তাই অনেকের মতে ‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’ নীতির উপর ভর করে ভিয়েতনামের হাত শক্ত করতে চাইছে ভারত। এই প্রথম নয়, এর আগে ভিয়েতনামের কাছে ব্রাহ্মোস পাঠিয়েছিল ভারত। মোদ্দা কথা, চীনকে ঠেকাতে, অস্ত্রের বাজারে ছাপ ফেলতে তলে তলে জাল বুনছে নয়া দিল্লি। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছেনা বেইজিং।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়