বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে সরাতে না পারলে দেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখা যাবে না। এই কথাটি বেঙ্গালুরুতে বসা বিরোধীদের বৈঠকে বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা বাকিরা মেনে নিয়েছেন। তাই একমঞ্চে এসে আজ, মঙ্গলবার ঠিক হচ্ছে নির্দিষ্ট কর্মসূচি। যা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিরোধী দলগুলি নিজ নিজ রাজ্যে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে মন্তব্য করতে হচ্ছে। এনডিএ বৈঠকে বসছে। আর শুভেন্দু অধিকারী কি থেমে থাকতে পারেন? বিরোধীদের এই মেগা বৈঠক নিয়েই এবার শাসকদলকে টুইট করে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে সদ্য শেষ হয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ সব বিরোধী দলের। সেখানে কংগ্রেস–সিপিএম ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একসারিতে আসায় বিজেপির চাপ বেড়েছে। তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না কেউ। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসকে টুইট করে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, মঙ্গলবার যখন বিরোধীদের মেগা বৈঠক তখন টুইটারে শুভেন্দু লিখলেন, ‘বাংলায় কুস্তি বেঙ্গালুরুতে দোস্তি!!’ এছাড়া আরও কয়েকটি কথা লিখেছেন তিনি। যাতে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি খেলা যায়। কিন্তু তারপরও বেঙ্গালুরুতে জোরকদমে চলছে নরেন্দ্র মোদীকে উৎখাত করার বৈঠক।
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা একজোট হলে সেটা শাসক বিজেপির পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না। এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই একজোট হওয়া বিরোধীদের ছত্রাখান করে দিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। সর্বভারতীয় স্তরে সেই চেষ্টা করছেন মোদী–নড্ডা। আর বাংলায় সেটা করার উদ্যোগ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘বাংলায় কুস্তি বেঙ্গালুরুতে দোস্তি !!! কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড–লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই? কি রাজনীতি রে ভাই! সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের জন্য দুঃখ হচ্ছে। নেতারাই ওদের পিছন থেকে ছুরি মারছেন।’
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচনে পরাজয় হয়েছিল জয়, সত্য সামনে আসতেই হতাশ সিপিএম
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন এই জোট যাতে না হয় তা নিয়েও ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। যেভাবেই হোক সিপিএম–কংগ্রেসের মধ্যে ভাঙন ধরাতে মরিয়া বিজেপি নেতারা। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবহে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘প্রত্যেকবার লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন একটি চেষ্টা হয়। তাতে যাঁরা উদোগ নেন তাঁদেরই ক্ষতি হয়। আগে সিপিএম নিয়েছিল গুটিয়ে গিয়েছে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিলেন বাংলায় এক ডজনের বেশি আসন কমে গেল। এবার কংগ্রেস নিচ্ছে, দেখতে পাবেন। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। আসলে প্রত্যেক দল দুর্নীতিতে ডুবে আছে। সেখান থেকে বাঁচতেই এসব করছেন।’