[ad_1]
গোঘাট: মূল্যবৃদ্ধির বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও ১০ টাকায় ৮পিস ফুচকা বিক্রি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। আট থেকে আশি সকলেই ভালোবাসেন ফুচকা খেতে। শহরের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে অলিতে-গলিতে ফুচকার দোকান রয়েছে। যে যতই কড়া ডায়েটের মধ্যে থাকুন না কেন ফুচকার লোভ সামলানো খুব কঠিন। তবে জানেন কি ১০ টাকায় ফুচকা ৮ পিস পাওয়া যাচ্ছে হুগলির গোঘাটের বেঙাই বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। জানা যায় দীর্ঘ কুড়ি বছর ফুচকা ব্যবসা করছেন শীতল দাস।
আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য! মাত্র ২ টাকায় কচুরি-আনলিমিটেড ঘুগনি! রোজ বিক্রি হচ্ছে ছ’শো পিস
কামারপুকুর বেঙাই এর রাজ্য সড়কের পাশ দিয়ে গেলে সর্বদাই ভিড় চোখে পড়ে শীতল বাবুর ফুচকার স্টলে। ফুচকার এত কম দামে বিক্রি করায় এখন অবশ্য বিকেলে দিকে কচিকাঁচাদেরই ভিড় বেশি থাকে। থাকবে না-ই বা কেন! বাচ্চারদের জন্য একেবারে অন্যরকম স্বাদের ফুচকা করেন এই শীতলবাবু। শুধু খুদেরাই নয়, বড়রা বিকালে ফুচকার লোভে ভিড় জমান।
শীতল বাবু সালিঞ্চার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। মা, স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সংসার। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজ্য সড়কের সামনের ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন শীতল। তাঁর এত কম দামে ফুচকা দেওয়ার লক্ষ্য হল আশেপাশে গ্রামে তার এই ব্যবসার কথা যাতে ছড়িয়ে যায় । প্রতিদিনই বিকালে প্রায় শীতলবাবু এক হাজার ফুচকা বিক্রি করে ফেলেন। এই কথা চিন্তা করে এভাবেই বছরভর ধরে সাধারণ মানুষকে ১০টাকায় ৮টা টক ঝাল ফুচকা খাইয়ে আসছেন তিনি।
অন্যদিকে মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তি জানান, ‘ফুচকার আবার কি বয়স আছে। এ এমন একটা জিনিস যার লোভ সামলানো যায় না। তাই পরিবার নিয়ে শীতলবাবুর ১০ টাকায় ৮ পিস ফুচকা খেতে চলে এলাম।’ সত্যিই এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কম দামে এত ফুচকা কীভাবে দিচ্ছে সেটাই এখন আশ্চর্যের বিষয়।
Suvojit Ghosh
Tags: Golgappa, Panipuri