[ad_1]
বহু বছর ধরে ওয়ান্টেড ছিল এক মাওবাদী। দেশদ্রোহীতা, সন্ত্রাসসহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু, কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে শেষ রক্ষা হল না। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসতেই মাওবাদীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মাওবাদীর নাম বাবন সূত্রধর। বিশাল পুলিশ বাহিনী রামপুরহাটে বাবনের আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মাওবাদী জঙ্গিকে খতম করল কমান্ডোরা, মাথার দাম ছিল ৮ লাখ, লুকিয়ে থাকত জঙ্গলে
বীরভূমের জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার পাশাপাশি সন্ত্রাস ছড়ানো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ ছিল। সেই সূত্রেই এদিন গ্রেফতার করা বাবন সূত্রধরকে (৪৮)। জানা গিয়েছে, ধৃত মাওবাদীর বাড়ি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর থানার বেলিয়াগ্রামের পুকুর পাড়ায়। গত ১২ বছর ধরে বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের নওদা থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল বলে খবর। কয়েক দিন আগে তিনি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফেরার আগে থেকেই শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। এদিকে, বাবনের গ্রামে ফেরার খবর পেয়ে এদিন সকালে বাড়ি ঘিরে ফেলে রামপুরহাট থানার পুলিশ। এই বিশাল বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র।
জানা যায়, বাম আমলে বাবনের বোনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন বাবন। তিনি মাওবাদী হয়ে ওঠেন। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী, পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদের নওদা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাবনের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। এরপর অস্ত্র সহ বাবন সূত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়। বহুদিন ধরে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। আজ ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অন্যান্য যে সমস্ত বাবনের নামে মামলা রয়েছে তাদেরও নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।