Home আপডেট ৩ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়ল রেলের? পুরনো ট্যাঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখবে রেল

৩ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়ল রেলের? পুরনো ট্যাঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখবে রেল

৩ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়ল রেলের? পুরনো ট্যাঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখবে রেল

[ad_1]

বুধবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। শতাব্দী প্রাচীন জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পরেই অন্যান্য স্টেশন এবং রেলের আবাসনগুলিতে পুরনো জলের ট্যাঙ্কগুলি কতটা নিরাপদ তার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার করবে রেল। এর পাশাপাশি ট্যাঙ্ক চত্বরে থাকা বস্তিবাসী এবং দোকানদের অন্যত্র সরে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে বড়সড় দুর্ঘটনা, মৃত অন্তত ৩, আহত আরও বহু, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের ঘটনায় মূলত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে। এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের তরফে রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তবে রেল চাইছে না যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। সেই কথা মাথায় রেখে পুরনো ট্যাঙ্কগুলিকে আধুনিক পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। 

রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদা, হাওড়া, মালদা, আসানসোল প্রভৃতি ডিভিশনে একাধিক পুরনো জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। বর্তমানে এই ট্যাঙ্কগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? তা জানার জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে জলাধারের অবস্থা জীর্ণ হলে সেক্ষেত্রে তা ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। রিপোর্ট করতে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রেল সূত্রের খবর, আসানসোল ডিভিশনে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮০ টির কাছাকাছি জলাধার রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু জলাধার বহু প্রাচীন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জলাধারগুলি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও রেলের দাবি, সেগুলি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত হবে কোনগুলি ভেঙে ফেলা হবে আর কোনগুলি রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্ধমান স্টেশনের যে ট্যাঙ্কটি ভেঙে পড়েছিল, সেটি ১৮৯০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্ধমান স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মের বাইরেও ১৯৩৫ সালে তৈরি হওয়া একাধিক ট্যাঙ্ক রয়েছে। তা ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনের ট্যাঙ্কটি আচমকা ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ওপর পড়ে সেই জলের ট্যাঙ্ক। তারপরে ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং ৩৯ জন জখম হন। ঘটনার পরে তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। রেলের আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করেছে তদন্তকারী দল। এর পাশাপাশি একাধিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্তের রিপোর্ট হাওড়া ডিআরএমের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here