[ad_1]
হাওড়া: বিখ্যাত শান্তিরাম মান্নার ডাল বড়া! প্রায় ৪০ বছর ধরে মানুষের পছন্দের তালিকায় এই তেলে ভাজা। সারা বাংলা জুড়ে অলিগলিতে তেলেভাজা। তবে এর মধ্যেই কিছু তেলেভাজা বেশ জনপ্রিয়। সেরকমই জগৎবল্লভপুর মাড়ঘুরালি মহাকালতলার শান্তিরাম মান্নার তেলেভাজার দোকান। দোকানের বয়স ৪০ বছর।
আরও পড়ুনঃ মন্দার বাজারে এখনও মেলে ১ টাকার শিঙ্গাড়া, ৭ টাকার মাছের চপ! রইল দোকানের ঠিকানা
দোকানদার ষাটঊর্ধ্ব বয়সী শান্তি মান্না। মিষ্টি এবং তেলে ভাজার দোকান শান্তিবাবু কয়েকজন কারিগর নিয়ে সামাল দিচ্ছেন। তাঁর এই তেলেভাজা শুধু স্থানীয় মানুষ নয়, শান্তিরাম মান্নার তেলে ভাজার টানে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকেও খরিদ্দার আসেন। দু’রকম ডাল, মোটর ও খেসারির ডাল মিশিয়ে তৈরি হয় ডাল বড়া। এক কেজি মটর ডালের সঙ্গে আড়াইশো গ্রাম খেসারির ডাল। দুই বা তিন ঘণ্টা ভিজানোর পর সেই ডাল বাটা হয়। বাটা শেষ হলে তাতে কাঁচা লঙ্কা এবং কিছু মসলা মিশিয়ে পাতলা পাতলা করে তেল ছাড়া। গরম খাস্তা ডাল বড়া, যার জুড়ি নেই।
ক্রেতা সঞ্জু মান্না জানান, ‘শান্তিরাম মান্নার তেলেভাজা এলাকায় খুবই বিখ্যাত। বিশেষ করে শিঙ্গাড়া এবং ডাল বড়া। ছোট বয়স থেকে দেখছি এই দোকানে ডাল বড়া বিক্রি হচ্ছে। এই বর্তমান সময়েও ডাল বড়া খেতেই দোকানে আসা হয়।’
এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা শান্তিরাম মান্না জানান, ৪০ বছরের দোকান। মানুষ খোঁজ নিয়ে আসেন তেলে ভাজা খেতে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ রকম তেলে ভাজা তৈরি হয়। বিশেষ করে ডাল বড়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। একসময় কুড়ি – ত্রিশ পিস ডাল বড়া তৈরি করেও মাঝে মধ্যে অবিক্রীত থেকে যেত। তবে বর্তমানে চার থেকে পাঁচশ পিস ডাল বড়া বিক্রি হয় কয়েক ঘন্টায়। বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল স্থানীয়দের আত্মীয়দেরও বেশ পছন্দের এই তেলেভাজা। আত্মীয়র বাড়ির মিষ্টির সঙ্গে অথবা মিষ্টি ছাড়াই তেলে ভাজা। আত্মীয়দের চাহিদায় বাড়ি নিয়ে যান অনেকেই।
রাকেশ মাইতি
Tags: Fast Food, Food