[ad_1]
বর্ধমান: মাত্র ৫০ টাকাতেই মিলছে এক প্লেট চিকেন মোমো।সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ টাকা কিংবা তার বেশি দামে বিক্রি হয় অতি জনপ্রিয় এই পদ এবং প্লেটে থাকে ৬ পিস। কিন্তু ৫০ টাকার এই মোমোর প্লেটে থাকছে ১০ পিস চিকেন মোমো, সঙ্গে দু-রকমের চাটনি আর চিকেন স্যুপ। চমকপ্রদ এই মোমো পাওয়া যাচ্ছে বর্ধমান শহরে। শহরের বড়ো নীলপুর এলাকায় জাগরণী মাঠের পাশে ছোট্ট একটি দোকানে সুলভ মূল্যে ঢেলে বিকোচ্ছে লোভনীয় মোমো।
রাস্তার পাশের ছোট্ট এই দোকানটিতে সন্ধ্যে হলেই ভিড় জমায় শহরের খাদ্যপ্রেমী তথা মোমোপ্রেমীরা। অন্যান্য দোকানের তুলনায় দামে কম হলেও খামতি নেই পরিচ্ছন্নতা কিংবা স্বাদে। দোকান মালিক রণজিৎ বর্মার কথায় অন্যান্য জায়গায় ৬০, ৭০ টাকায় মোমো বিক্রি হয়। কিন্তু আমার এখানে ৫০ টাকায় পাওয়া যায়। ৫০ টাকায় দিয়েও আমার লাভ থাকে তাই বিক্রি করি।
আরও পড়ুনঃ ‘বাচ্চা ছেলেটাই করে দেখাচ্ছে’, কেন এমন বললেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী? তুঙ্গে জল্পনা
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “পাঁচ বছর আগে ব্যবসা শুরু করি। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। আমি এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকি। ৬০-৭০ টাকায় মোমো বিক্রি করলে আমার ভিড় কম হবে। তাই ৫০ টাকায় বিক্রি করি। ৫০ টাকায় বিক্রি করেও লাভ থাকে। মোমোর সঙ্গে চাটনি, চিকেন স্যুপও দিতে পারি। দিনে ৫০০-১০০০, এমনকি ২০০০ পিস মোমোও কোনও কোনও দিন বিক্রি হয়।”
বছর পাঁচেক আগে, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে বর্ধমানে এসে ব্যবসা শুরু করেছিলেন রণজিৎ বর্মা নামের এই ব্যক্তি। ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে শুরু করেন মোমোর ব্যাবসা। তিনি জানান, মোমোর চাহিদা বাড়ানোর জন্যই ৫০ টাকায় মোমো বিক্রি করেন। এতে মানুষজন বেশি আসে। ফলে বিক্রি বাড়ে। বর্তমানে তার মোমোর জনপ্রিয়তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ দিন দোকানে মোমো খেতে এসেছিলেন শ্রাবণী প্রধান। তিনি বলেন, “রিজনেবল প্রাইসে ভাল কোয়ালিটি মোমো পাওয়া যায়। তাই এই দিকে যাতায়াত করার সময় এই দোকানে প্রায়ই খাওয়া হয়। কোয়ালিটি একদম টেন অন টেন। এই দামে অন্য কোথাও মোমো পাইনি আগে। মোমোর সঙ্গে দু-ধরনের চাটনি, চিকেন স্যুপ দেওয়া হয়। সেলও খুব ভাল। রিজনেবল প্রাইজে ভাল কোয়ালিটির জিনিস পেলে মানুষ তো অবশ্যই সেখানে ভিড় করবে।”
Bonoarilal Chowdhury
আপনার শহর থেকে (পূর্ব বর্ধমান)
পূর্ব বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমান
Tags: Momo