[ad_1]
কাটোয়া: মিষ্টির সাথে বাঙালির অদ্ভুত যোগ সূত্র। আর এই বাঙালির মিষ্টির ইতিহাসে রসগোল্লার জায়গা যে ঠিক কতখানি তা বলার অপেক্ষায় রাখে না। বহু অবাঙালির কাছে বাঙালি খাবার তালিকার যা দিয়েই শুরু হোক না কেন, শেষ পাতে মিষ্টি থাকেই। স্বাদ, ঐতিহ্যের জোরে বাংলার তৈরি মিষ্টির এক আলাদা জায়গা রয়েছে। মিষ্টি পছন্দ করে না, এমন বঙ্গ সন্তান থাকলেও সেই সংখ্যাটা নিতান্তই হাতে গোনা।
বাংলায় বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরি হয়। এক এক জায়গার এক এক রকমের মিষ্টি বিশেষ ভাবে বিখ্যাত এবং জনপ্রিয়। সেরকমই পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপের ছানার তৈরি জিলিপি অন্যতম, যা সকলে ছানার জিলিপি নামে চেনেন। অগ্রদ্বীপে প্রায় কয়েকশো বছর আগে মোদক পরিবারের হাত ধরে প্রথম এই মিষ্টির সূচনা হয়েছিল, যা আজও বংশ পরম্পরায় তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রকমারি মুখরোচক চাটের সম্ভার, সন্ধ্যা নামলেই জমছে ভিড়, ঠিকানা জেনে আজই পৌঁছে যান
এই প্রসঙ্গে মিষ্টি ব্যবসায়ী স্বপন মোদক মালিক জানান, “আমাদের এই দোকান অগ্রদ্বীপের প্রথম দোকান। এখন চার-পাঁচটা দোকান হয়েছে, সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু সবথেকে পুরনো আমার এই দোকান। যতদিন গুপিনাথ মন্দির আছে, তত দিনের পুরনো দোকান।” তাঁর দাবি, “ছানার জিলিপি তৈরি বংশপরম্পরায় হয়ে আসছে। বাবা মদন মোহন মোদকের হাতের তৈরি জিলিপি আমেরিকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এ ছাড়াও দোকানের ছানার জিলিপি দিল্লি পাড়ি দিয়েছে।”
পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের এই বিখ্যাত ছানার জিলিপি পাড়ি দিয়েছে বিদেশে। এ ছাড়া দিল্লি, সুরাট, জয়পুর, বম্বে আরও বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে অগ্রদ্বীপের এই ছানার জিলিপির স্বাদ। স্বপন মোদক জানান, ‘এক কেজি ছানার জিলিপি তৈরি করতে মোটামুটি দু’ঘণ্টা সময় লাগে। ছানার জিলিপি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ছানা, সামান্য পরিমাণ ময়দা, চিনি (রসের জন্য)।
বংশপরম্পরায় এখনও অগ্রদ্বীপে তৈরি হচ্ছে ছানার জিলিপি। তবে এত জনপ্রিয় এই মিষ্টি অর্থাৎ ছানার জিলিপির দাম আজও মাত্র পাঁচ টাকা। এখনও দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রদ্বীপের এই জনপ্রিয় ছানার জিলিপির স্বাদ নিতে।
Bonoarilal Chowdhury
আপনার শহর থেকে (পূর্ব বর্ধমান)
পূর্ব বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমান
Tags: Bengali Sweets, Sweet