[ad_1]
পুরুলিয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরমের দাপটে নাকাল দশা হয়েছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গবাসীর। এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ঠান্ডা পানীয় দোকানে অথবা লস্যির দোকানে। পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লস্যি পাওয়া গেলেও পুরুলিয়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে অবস্থিত লস্যির দোকানটি যথেষ্ট জনপ্রিয়।
দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছর ধরে চলছে এই দোকানটি। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এই লস্যির দোকানে আসেন লস্যি খেতে। প্লেন লস্যি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ফ্লেভার এর লস্যি। যার স্বাদ একেবারেই অতুলনীয়। শুধু পুরুলিয়া জেলায় নয় অন্যান্য জেলা থেকেও অনেকে এই দোকানে লস্যি খেতে আসেন।
আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসছে কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টি, কোন কোন জেলায় নামবে স্বস্তি বৃষ্টি? জানুন পূর্বাভাস
এ বিষয়ে দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তাঁর দাদুর আমলে তৈরি হয়েছিল এই লস্যির দোকানটি তারপর থেকে বংশ পরম্পরায় তারা এই দোকান চালিয়ে আসছেন। প্রায় প্রতিদিনই ১৫০ থেকে ২০০ গ্লাস লস্যি বিক্রি হয় তাদের। তাদের এই দোকানে ম্যাঙ্গো, স্ট্রবেরি, পাইনাপেল, কেশার বাদাম, কেশর ইলাইচি এই সকল বিভিন্ন স্বাদের লস্যি পাওয়া যায়। ক্রেতাদেরও যথেষ্ট সারা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আজ ফের কালবৈশাখীর তাণ্ডব? বৃষ্টিতে ভাসবে জেলা? রইল আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস
দোকানে আগত ক্রেতারা জানিয়েছেন, এই লস্যির দোকানে লস্যি খেতে আসেন। এতগুলো বছরেও লস্যির স্বাদের কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্রায় সারা বছরই তাদেরকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে লস্যি কিনে খেতে হয়। এই দোকানে ক্রেতাদের যথেষ্ট ভিড় থাকে সারা বছরই। বিভিন্ন ফ্লেভারের লস্যির স্বাদ তারা গ্রহণ করতে পারেন এই দোকান থেকে। প্রতিটা ফ্লেভারেরই স্বাদই অতুলনীয় বলে জানান।
বছরের বিভিন্ন সময়ে পুরুলিয়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের এই লস্যির দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও গ্রীষ্মকালে সেই ভিড় উপচে পড়ে। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এই লস্যির দোকানে। দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে নিজেদের দোকানের ঐতিহ্য ও লস্যির স্বাদ একইরকম ভাবে বহন করে চলেছে দোকানটি।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি
Tags: Lassi, Purulia