[ad_1]
বালুরঘাট: মানুষ তো চা পান করে বিভিন্ন জায়গায়। বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান, বাজার, হাট সর্বোচ্চ চা-র প্রচলন রয়েছে ব্যাপকভাবে। এমনকি বাড়িতে আতিথেয়তার অন্যতম উপাদান ও এই চা। আসলে এই নেশাটা বাঙালির প্রিয় ‘চা’-র নেশা। এই নেশার নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বললেই চলে।
আট থেকে আশি প্রত্যেকেই মজেছে এই নেশায়। যদিও এই নেশার ব্যাপারে কারও কোনও বিরোধিতা নেই। এমনকি এই নেশাকে কেউ আপত্তি জানান না। এমনই এক দৃশ্য লক্ষ্য করা গেল বালুরঘাট শহর তীরবর্তী পাগলীগঞ্জে। নেশা করতে ছুটছে বালুরঘাট শহরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ছুটি ঘোষণার পরেও স্কুল খোলা! পটাশপুরে এরপর যা ঘটল…! তাজ্জব করা কাণ্ড
নেশা এমনই যার সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর কোনও সময় নেই। শুনতে অনেকটা অবাক হলেও এমনই নেশার টানে মানুষকে আকৃষ্ট করছে বালুরঘাট শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে পাগলীগঞ্জ নামক একটি ছোট্ট জনপদ। প্রায় আট-দশ কিলোমিটার দূর থেকে মানুষ নিজের চায়ের জন্য আপন করে নিতে পেরেছেন তিনি হলেন শিবেন মণ্ডল। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় এই চা অন্য মাত্রা পেয়েছে। তবে শুধু পাঁচ কিংবা দশ টাকার চা নয়। চায়ের বিভিন্ন ধরনের গুণমানের চা, সর্বোচ্চ মূল্য ৫০ টাকা। এমনকি পাঁচ টাকার চা খেতে গিয়ে পাঁচ কাপ চা খেয়ে ফেলছেন এমনও নজির রয়েছে।
বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি চায়ের দোকান দিচ্ছেন, সাদামাটা দোকান। দোকানের চাকচিক্য নেই বললেই চলে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বড় বড় রেস্টুরেন্টের হাতছানি। আর সেই রেস্টুরেন্টে ছুটছেন নামিদামী খাবার খেতে। কিন্তু এই চায়ের দোকানে ১০ টাকা দামের চা খেতে ৫০ টাকার তেল পুড়িয়ে ফুটছেন পাগলীগঞ্জের শিবেনের দোকানে।
বালুরঘাটের বাসিন্দা জানান, ‘তাঁর কথায় বাড়ি, বাজার-সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার দিনে চা খান। তবে পাগলীগঞ্জের শিবেন বাবুর দোকানে দিনে একবার চা না খেলে আমার যেন তৃপ্তি আসে না।’
সুস্মিতা গোস্বামী
Tags: Tea