[ad_1]
কৃষ্ণনগর: মিষ্টি আমাদের কমবেশি সকলেরই প্রিয়। খাবারের শেষ পাতে একটু মিষ্টি পড়লে খাওয়া পরিপূর্ণতা পায়। বাংলায় বিখ্যাত মিষ্টির সম্ভার রয়েছে প্রচুর। রসগোল্লা, সন্দেশ, পানতুয়া, মিষ্টি দই, ইত্যাদি তো রয়েছেই কিন্তু বাংলার বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত মিষ্টি যা আজ নাম করেছে বিশ্বের দরবারে। ঠিক তেমনি একপ্রকার মিষ্টি কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরভাজা এবং সরপুরিয়া।
বাংলার বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সমস্ত মিষ্টির মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগরের সরভাজা এবং সরপুরিয়া। এই মিষ্টির ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির সঙ্গে। জানা যায়, এই মিষ্টি প্রথম তৈরি হয় ১৯০২ সালে। কৃষ্ণনগরের তৎকালীন মহারাজ এই মিষ্টি খেয়ে খুবই প্রশংসা করেন। রাজবাড়ির পুজোতেও আনা হত এই মিষ্টি।
আরও পড়ুন: ‘মানুষের তো কাজে ভুল হয়’, অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব উড়িয়ে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি রেলকর্তার!
দুধের সর তুলে সেই সরকে ভেজে তৈরি হয় বলেই এই মিষ্টির নাম সরভাজা। এই মিষ্টি তৈরির প্রণালী যাতে কেউ জেনে নিতে পারে সেই কারণে দরজা বন্ধ করেই বানানো হত। সেই থেকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরভাজা ও সরপুরিয়া। শুধু জেলা নয় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও নিজের খ্যাতি অর্জন করেছে এই সরভাজা ও সরপুরিয়া।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে থরে থরে লাশ, গড়াচ্ছে রক্তরস! স্কুলে ফিরতে ভয় বাহানাগার পড়ুয়াদের
দুধ জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করে সেই ছানা থেকে জল ছাড়ানোর পর তার সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন কাঠবাদাম এলাচ পেস্তা ইত্যাদি সামগ্রী মিশিয়ে তৈরি করা হয় সেই সন্দেশ। এরপর ক্ষীরের তিনটি স্তর ভাগ করা হয়। প্রথমে নিচের স্তরে থাকে সর মাঝখানে থাকে সেই ক্ষীরের সন্দেশ। তারপর দেওয়া হয় আরেকটি সরের স্তর। তারপর পুনরায় দেওয়া হয় ক্ষীরের সন্দেশের স্তর, তার ওপর দেওয়া হয় আরও একটি সরের স্তর। মূলত এই ভাবেই স্তরে স্তরে ক্ষীর ও সর মিশিয়েই তৈরি করা হয় সুস্বাদু এই সরপুরিয়া যা কিনতে মূলত সারা বছরই লোকের ভিড় লেগে থাকে কৃষ্ণনগরে।
Mainak Debnath
আপনার শহর থেকে (নদিয়া)
Tags: Nadia news, Sweets