Home বিদেশ Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নেই, রাশিয়ার দাবি মিথ্যে! সত্যি কি তাই?

Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নেই, রাশিয়ার দাবি মিথ্যে! সত্যি কি তাই?

Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নেই, রাশিয়ার দাবি মিথ্যে! সত্যি কি তাই?

[ad_1]

Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোন হস্তক্ষেপ করছে না, জানিয়ে দিল দেশটা। রাশিয়ার দাবি মিথ্যে! তাহলে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে টা কি? এভাবেই কি বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় রাখবে? চীন রাশিয়া ইরান বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েও কিচ্ছু করতে পারছে না। গণতন্ত্রকে শক্ত করার অজুহাতে অন্য ফাঁদ পাতছে না তো যুক্তরাষ্ট্র? এত জল্পনা সমালোচনার মাঝে বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? সেটা কি কেউ ভেবে দেখছে?

বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টা যাতে জো বাইডেন দেখেন সেই বিষয় চিঠি লিখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ৬ সদস্য। তখন রাশিয়া বিষয়টাকে অভ্যন্তরীণ নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ বলে দেগে দেয়। ইরানেও রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলে। একইভাবে প্রশ্ন তোলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। একটা দেশের নির্বাচন, সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন এখন আন্তর্জাতিক ময়দানের হট টপিক। এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়ে দিলেন, তাদের দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যদি অন্য কোন দেশ কথা বলে সেটা অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ বলে মনেই করে না। মানেটা স্পষ্ট। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে তারা কথা বলছে এটা কোন অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপই নয়। বরং এই ধরনের আলোচনাকে তারা স্বাগত জানায়। এটা গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করে।

তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও বারংবার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন। দুই দেশের সঙ্গে প্রায় ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্ব। এখানে যুক্তরাষ্ট্র কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। তারা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। তারা কোনভাবেই বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে হস্তক্ষেপ করছে না। আচ্ছা সত্যি কি তাই? ভেবে দেখুন তো, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে যদি অন্য কোন শক্তিধর রাষ্ট্র বারংবার কথা বলত, সমালোচনা করত, রাষ্ট্রদূত পাঠিয়ে দিত তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্রের সত্যি ভালো লাগত? বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নীতিতে মেনে চলে। আর তাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যতই দ্বন্দ্ব থাকুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? সেটাই বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু এই রাজনৈতিক দলাদলি কিংবা আন্তর্জাতিক ময়দানে এত জল ঘোলা পছন্দ করে না। তারা ভীষণ শান্তিপ্রিয়। তারা চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক। তারা যে মানুষটাকে নির্বাচনের মাধ্যমে জিতিয়ে আনবেন তারা মানুষের জন্য কাজ করুক। মানুষের পাশে দাঁড়াক।

এসব বিতর্কের মাঝেই ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। তিনি মানবাধিকার, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, মানব পাচার প্রতিরোধ, শ্রম, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের যে কূটনৈতিক তাৎপরতা চলছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কিন্তু এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here