[ad_1]
রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিলের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের তদন্ত করবে শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, কেন অনুমোদন বাতিল হল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করবে শিক্ষা দফতর। তদন্তের রূপরেখা ঠিক করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে শুক্রবার।
গত ১০ নভেম্বর রাজ্যে শিক্ষক শিখন বিশ্ববিদ্যালয় BSAEU. উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরিকাঠামো না থাকায় ও ভুয়ো নথি জমা দেওয়ায় এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল ও কোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় চলে না। উচ্চ শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলেও জানান উপাচার্য।
ওদিকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়, পরিকাঠামো না থাকায় বেশ কিছু বিএড কলেজের অনুমোদন যে বাতিল হতে চলেছে তা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কত কলেজের অনুমোদন বাতিল হতে চলেছে বা কী কারণে কোন কলেজের অনুমোদন বাতিল হল তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়নি।
ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকমাস এগজিকিউটিভ কাউন্সিল বা কোর্টের বৈঠক হয় না। শেষ বৈঠকে কী কী মাপকাঠিতে অনুমোদন বাতিল করা হবে সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কোন কোন কলেজের অনুমোদন বাতিল হবে তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’ যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, এবিষয়ে কোর্চ বা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে আলোচনার প্রয়োজন নেই।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতগুলি বিএড কলেজের কেন একসঙ্গে অনুমোদন বাতিল হল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত হবে। শিক্ষা দফতর তদন্ত করবে। তদন্তের রূপরেখা ঠিক করতে শুক্রবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিজেপির দাবি, অনুমোদন বাতিল হওয়া বহু বিএড কলেজের মালিক তৃণমূলের নেতা – মন্ত্রীরা। অথবা তাদের পরিবারের কোনও সদস্যের নামে রয়েছে ওই কলেজগুলি। কিছু কলেজ তৃণমূল নেতা বা তার পরিবারের নামে না হলেও তাতে নেতার বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের ঘুষ দিয়ে পরিকাঠামোহীন বিএড কলেজের অনুমোদন বার করা হয়েছে। এই সব কলেজের অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয় খারিজ করে দেওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে তৎপরতা শুরু করেছে শিক্ষা দফতর।