[ad_1]
জয়নগরের দলুইখাঁটি গ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর খুনে ধৃত সাহারুল শেখকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, খুনের আগে রেইকি করতে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ১ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল সাহারুলের। সেই টাকার বিনিময়ে ৪ দিন ধরে স্থানীয় একজনের বাড়িতে ছিলেন সাহারুল। সেখান থেকে সইফুদ্দিনের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার ভোরে সইফুদ্দিন বাড়ি থেকে বেরোলে সেখবর খুন করে দুষ্কৃতীদের দেন সাহারুলই। তবে সাহারুলের দাবি, চুরির কাজ আছে বলে বরাত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সইফুদ্দিনকে যে খুন করা হতে পারে তা ঘুণাক্ষরে টের পাননি তিনি।
ডায়মন্ড হারবারের নেতড়ার বাসিন্দা সাহারুল কুখ্যত খুনি। সোমবার খুনের পর পালানোর সময় অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের মোটরসাইকেলের। এর পর সাহারুল ও সাহাবুদ্দিনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। সাহারুল জানায়, সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে সাহাবুদ্দিন। এর পর সাহাবুদ্দিনকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেললেও সাহারুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশের দাবি, জেরায় সাহারুল জানিয়েছে। তাঁকে জানানো হয়, চুরির কাজ আছে। তাই সইফুদ্দিনের ওপর নজর রাখতে হবে। এক লক্ষ টাকাও দেওয়া হয় তাকে। টাকা নিয়ে সইফুদ্দিনের ওপর নজরদারি শুরু করে সে। তবে সাহারুলের দাবি কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার সাহারুলকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।