[ad_1]
নিয়োগ বৈধ কি না সেটাই বড় কথা। কেউ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বলে অবৈধ ভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না। সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ মামলায় এই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি ছ’মাসের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই শুনানি হচ্ছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সমস্ত নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে সেই নির্দেশে স্থগিতাদের দেওয়া হয়। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে কাজ করছিলেন তাঁরা আবেদন করেন কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করে তাদের চাকরি রাখা হোক। কারণ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তাঁরা।
পড়ুন। হাইকোর্টে ‘হাজির’ নিখোঁজ শাহজাহান, সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন
সোমবার সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, তাতে অসুবিধা নেই! কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়!’
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেঞ্চের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন,’বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চকে নিয়ে সব সময় ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত এসএসসি। আর মামলাকারীও বেছে বেছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই সমস্ত মামলা করেছিলেন। তিন বছরে অন্য বেঞ্চে মামলা দায়ের করা যেত না? কেউ কোথাও ঘুষ দিয়ে থাকলে বা ঘুষ নিয়ে থাকলে তার মানে এই নয় যে আমি খারাপ।’
পড়ুন। কলকাতা হাইকোর্টে বাংলায় শুনানির সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ‘তদন্ত বিলম্বিত করার জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। মেধাতালিকা প্রকাশ না পায় যাতে তার জন্য বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিরা আদালতে এসেছেন।’
তবে বিচারপতি জানিয়ে দেন, চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে নিয়োগের প্রক্রিয়া বৈধ কিনা তার উপর।