[ad_1]
দুজনেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। একজন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। অপরজন বিচারপতি সৌমেন সেন। উভয়ের মধ্য়ে সংঘাতের ঘটনা কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছে আদালতের অন্দরে। তবে এবার তার আঁচ পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই বিষয়টির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রের খবর, এবার দেশের শীর্ষ আদালত এনিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেরই মতে এভাবে দুই বিচারপতির মধ্যে সংঘাত কার্যত নজিরবিহীন। সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে তৎপর হয়েছে তা নিয়ে চর্চা পুরোদমে। এবার সুপ্রিম কোর্টে এই ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় সেটাই দেখার।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার আদালত ছুটি থাকবে। আর সেই ছুটির দিনেই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বসবেন বলে খবর। আর সেই পাঁচ বিচারপতির মধ্য়ে অন্য়তম হলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এছাড়াও ওই বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।
কিন্তু এবার প্রশ্ন কী নিয়ে এই সংঘাত?
মেডিকেল কলেজের ভর্তির অনিয়ম সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বুধবার থেকে এই বিরাট টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর এই নির্দেশের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশের উপর মৌখিক স্থগিতাদেশ দেয়।
মামলাটি বুধবার বিকালে ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে ওঠে। বিচারপতি জানতে পারেন এই মৌখিক স্থগিতাদেশের কথা। তখন তিনি পাল্টা জানান স্থগিতাদেশের লিখিত প্রমাণপত্র না পেলে তিনি তা মানতে পারবেন না। এর পর সিবিআইকে তিনি তদন্ত শুরু করতে নির্দেশ দেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে কি বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বিচারপতি সেন? নইলে রায়ের কপি না দেখে কী করে আমার রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেন তিনি? যে কেউ তাঁর এজলাসে গিয়ে এই আবদার করলে তিনি মানবেন তো? একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন তিনি। কেন তাঁর ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে না?
এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় উল্লেখ করেন, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন তাঁর চেম্বারে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপর একেবারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো তিনি বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।