Home অফ-বিট মহাজাগতিক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকবে ২০১৮-র আকাশ……

মহাজাগতিক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকবে ২০১৮-র আকাশ……

মহাজাগতিক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকবে ২০১৮-র আকাশ……

মনের ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে, জানার তাগিদেই চোখ রাখা রাতের আকাশে, আর তা থেকেই প্রাপ্তি হবে বিরল মহাজাগতিক কর্মকাণ্ড।বছরভর মহাজাগতিক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকবে ২০১৮-র আকাশ।

Related image

আসুন তবে এক পলকে দেখে নেওয়া যাক কি ঘটতে চলেছে……

  • অমাবস্যা নয়, প্রথম পূর্ণিমা দিয়ে শুরু হচ্ছে ২ রা জানুয়ারি। আশ্চর্যের বিষয় এ মাসে দুটো পূর্ণিমা।অর্থাৎ বিস্ময়ের ব্লু মুন। একে সুপার মুনও বলে, কারণ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব রীতিমতো কম হবে, আর উজ্জ্বল হবে। কাছের উপাদান স্পষ্ট দেখায় তাই বিশিষ্টতা অমায়িক। ৩১ শে জানুয়ারি, পূর্ণিমা আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সেই গ্রহণ ভারত থেকে দেখা যাবে।
  • ৩ রা ও ৪ ঠা জানুয়ারি উল্কাবর্ষণের দিন। কিন্তু এটা সুখবর নয়, কারণ দৃশ্য নিশ্চয়, তবে পূর্ণিমাতে বিজ্ঞানীরা একটু সন্ধিহান। কারণ আলো থাকলে উল্কা বর্ষণ ” নৈব নৈব চ”।

Image result for solar eclipse

  • ১৫ ফেব্রুয়ারি আংশিক সূর্যগ্রহণ। কিন্তু এখানে জানা থাকলেও এটা সত্য যে, এই সূর্যগ্রহণ ভারতে অদৃশ্য।
  • ১৫ ই মার্চ, সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ আসছে পৃথিবীর কাছে। কাছে থাকার হেতু বুধ কে আরো প্রাঞ্জল হিসাবে পাওয়া যাবে।
  • বছরের ২২ ও ২৩ শে এপ্রিল আবার উল্কাপাত। তবে এটা হলো ” Lyrids meteor shower “। এটি সাধারণত ১৬ থেকে ২৫ শে এপ্রিল স্বক্রিয় থাকে।আর এবারেও তার অন্যথা হবে না।
  • ৬ ও ৭ ই মে একাইওয়েরিডের উল্কা স্ট্রিম দেখা যাবে। প্রত্যেক সময় ধুলোর কণার (যেমন উল্কা প্রবাহ) প্রবাহের মধ্য দিয়ে পৃথিবী উত্তীর্ণ হয়,আর এটি অ্যাকুয়ারিয়াদের উল্কার ঝরনা হিসাবে পরিচিত।

Related image

  • আবার একটু লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে ৯ ই মে পৃথিবী থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব নিতান্ত কমবে। বিশেষ করে বললে বলতে হয় যে, বৃহস্পতি পৃথিবীর খুব কাছে আসবে।
  • ২৭ শে জুন, শনি যার তিনবলয়ে বিশেষ অবস্থান, সেই শনি পৃথিবীর কাছে চলে আসবে। আসা যাওয়া, নিকট – দূর সত্ত্বেয় চলায় নিরন্তর যাত্রা।
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি আংশিক সূর্যগ্রহণ। কিন্তু এখানে জানা থাকলেও এটা সত্য যে, এই সূর্যগ্রহণ ভারতে অদৃশ্য।
  • ১৫ ই মার্চ, সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ আসছে পৃথিবীর কাছে। কাছে থাকার হেতু বুধ কে আরো প্রাঞ্জল হিসাবে পাওয়া যাবে।
  • বছরের ২২ ও ২৩ শে এপ্রিল আবার উল্কাপাত। তবে এটা হলো ” Lyrids meteor shower “। এটি সাধারণত ১৬ থেকে ২৫ শে এপ্রিল স্বক্রিয় থাকে।আর এবারেও তার অন্যথা হবে না।
  • ৬ ও ৭ ই মে একাইওয়েরিডের উল্কা স্ট্রিম দেখা যাবে। প্রত্যেক সময় ধুলোর কণার (যেমন উল্কা প্রবাহ) প্রবাহের মধ্য দিয়ে পৃথিবী উত্তীর্ণ হয়,আর এটি অ্যাকুয়ারিয়াদের উল্কার ঝরনা হিসাবে পরিচিত।
  • আবার একটু লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যে ৯ ই মে পৃথিবী থেকে বৃহস্পতির দূরিত্ব নিতান্ত কমবে। বিশেষ করে বললে বলতে হয় যে, বৃহস্পতি পৃথিবীর খুব কাছে আসবে।

Image result for saturn

  • ২৭ শে জুন, শনি যার তিনবলয়ে বিশেষ অবস্থান, সেই শনি পৃথিবীর কাছে চলে আসবে। আসা যাওয়া, নিকট – দূর সত্ত্বেয় চলায় নিরন্তর যাত্রা।
  • ১৩ ই জুলাই সূর্যের খণ্ডগ্রাস গ্রহণ। তবে এ গ্রহণ কিন্তু দৃশ্য নয়, বরং বিদেশের অর্থাৎ দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া আর অ্যান্টার্টিকা থেকে এই খণ্ড গ্রাস দৃশ্য।
  • ২৭ শে জুলাই, চন্দ্রগ্রহণ তো হবেই, তবে এদিন রক্তাভ মঙ্গল গ্রহ পৃথিবী কাছে থাকবে। চন্দ্রের প্রভাব এই ২০১৮, তার উপর মঙ্গল সেদিন নিকটে অবস্থান করবে, বিশিষ্টতা তো আছেই।
  • ২৮, জুলাই আবারো পৃথিবী সাক্ষী তার উল্কাপাতে। সাধারণভাবে “ডেল্টা অ্যাকোয়ারিয়াম” উল্কা ঝরনা প্রতিবছর ১২ জুলাই থেকে ২৩ শে আগস্ট পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে ঝড়ো হাওয়া এবং জুলাই মাসের শেষের দিকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এবারেরও দিন পিছালেও সময় একই থাকবে।
  • ১১ অগাস্ট সূর্যের খণ্ডগ্রাস গ্রহণ ঘটবে। মহাজাগতিক হলেও তা সব জায়গা থেকে দৃশ্য।
  • ১২, ১৩ অগাস্ট উল্কাবর্ষণ আবারো। বার বার উল্কাপাত এ বছর ধরে। তবে এবার অন্যরকম বিষয়।
    “পার্সীডদের” নামে পরিচিত এই উল্কাপাত সাধারণ ভাবে উত্তর গোলার্ধে দেখা যায়।আর এই বর্ষণ উওর পূর্বাংশ জুড়ে দেখা যাবে।

Related image

  • ১৭ ই অগাস্ট শুক্র গ্রহের কক্ষপথটি পৃথিবীর চেয়ে সূর্যর কাছাকাছি অবস্থিত, অর্থাৎ এটি সর্বদা সূর্যের কাছাকাছি অবস্থিত এবং বেশিরভাগ সময় পালন করা খুব কঠিন।আর সেই শুক্র এইদিন বিশেষ উজ্জ্বল দেখাবে।
  • ৭ ই সেপ্টেম্বর নেপচুন পৃথিবীর কাছে আসবে। পৃথিবীর নিকটে তার অবস্থান হবে। আস্তে আস্তে শেষের দিকে পৃথিবীর নিকটবর্তী অনেকেই।
  • সময়টা ৮ ই অক্টোবর, আর এই বছরে আবার উল্কাপাত। যার পরিচিতি?
    ডিরাকনিড উল্কা ঝরনা, এছাড়াও কখনও কখনও “Giacobinids “হিসাবে পরিচিত, অক্টোবর আকাশ প্রতি বছর বার্ষিকী দুটি উল্কা বৃষ্টি এক।

Related image

  • ড্রেকোনডেস তাদের নাম ড্রেকো দ্য ড্রাগনের কাছে রাখে, এবং পৃথিবী যখন ধূমকেতুর ধূমকেতুর ধূমকেতু ২১ পি / জিয়াওবিনি-জিনের দ্বারা বামে যায় তখন তৈরি হয়। সূর্যের চারপাশে একটি বিপ্লব তৈরি করতে ধূমকেতুর প্রায় ৬.৬ বছর সময় লাগে।
  • ২১ ও ২২ অক্টোবর আবার সেই উল্কাপাত।
    পরিচিত হওয়া যাক, “orionids “- অক্টোবরে “অরিয়নড” প্রতিবছর প্রতিবছর সক্রিয় হয়, সাধারণত ২0 অক্টোবর ২1 অক্টোবরের কাছাকাছি। তার শীর্ষস্থানে, প্রতি ঘন্টায় ২0 টি উল্কা দেখা যায়।
    “Orionids” দেখতে সেরা সময় ঠিক মধ্যরাত এবং ভোরের আগে।
  • ২৩ শে অক্টোবর ইউরেনাস পৃথিবীর কাছা কাছি চলে আসবে। অর্থাৎ স্থানগত ভাবে নিকটতম হবে ইউরেনাস।
  • ৫ ও ৬ ই নভেম্বর আবার উল্কাপাত। যার নাম “Taurids”, একটি ধীর এবং দীর্ঘ দীর্ঘস্থায়ী উল্কা ঝরনা, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে প্রতি বছর ঘটে। এ বছর ও অন্যথা হবে না।
  • ১৭ ও ১৮ নভেম্বরে যে উল্কাপাত দেখা যায়, তা “লিওনিড উল্কার ” হিসাবে পরিচিত। এই উল্কা ঝরনা বার্ষিক প্রতিবছর নভেম্বর মাসে সক্রিয় থাকে এবং এটি সাধারণত ১৭ ই নভেম্বর বা ১৮ শে নভেম্বরের মাঝামাঝি হয়। ঝরঝরে লিওনিড্ড বলা হয় কারণ এর উদীয়মান বা আকাশের যে বিন্দুগুলি উল্কা থেকে বেরিয়ে আসে বলে মনে হয়, তা নক্ষত্রপুঞ্জের লেওতে অবস্থিত। 
  • ২০১৮ সালের ১৩ই ডিসেম্বর রাত ১২ টায় জিমিন্ডের উষ্ণমন্ডলীয় ঝাঁকুনি এবং ১৪ ই ডিসেম্বর সকালে মিথুনের দিকে তাকালে দেখা যাবে , যা অরিয়ন এর কাছাকাছি। বীমাকৃত্বটি বছরের সবচেয়ে দর্শনীয় উল্কা বৃষ্টিপাতের এক হিসাবে বিবেচিত হয়। নিজস্ব সময় জোন উপর নির্ভর করে ১৩ বা ১৪ ডিসেম্বর, দেখা সম্ভব।
  • ২০১৮ সালের ২১ ও ২২ ডিসেম্বর উল্কাপাত। যখন পৃথিবী ধূমকেতু এবং গ্রহাণু দ্বারা বামাবৃত মূত্রস্থলগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন বার্ষিক উল্কা বৃষ্টি শুরু হয়। মৃন্ময় পাত্রের আকারের টুকরা পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে রূপ নেয়, তারা প্রায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। উল্কাটি পৃথিবীর উপর যে গতি এবং দিকনির্দেশনাকে প্রভাবিত করে তা নির্ধারণ করে, সৌর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবাহের পথ খুঁজে বের করা এবং দায়ী দেহকে চিহ্নিত করা সম্ভব। এই ভাবে ২০১৮ মহাজাগতিক রহস্য বছরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে যাবে নতুনভাবে, একান্ত রহস্যের মোড়কে আলাপনে।

Related image

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here