Home আপডেট Dead body missing: মর্গের কর্মীদের গাফিলতি ছিল, বন্দির দেহ উধাও মামলায় দাবি পুলিশের

Dead body missing: মর্গের কর্মীদের গাফিলতি ছিল, বন্দির দেহ উধাও মামলায় দাবি পুলিশের

Dead body missing: মর্গের কর্মীদের গাফিলতি ছিল, বন্দির দেহ উধাও মামলায় দাবি পুলিশের

[ad_1]

খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বন্দির দেহ রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের মর্গ থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেই ঘটনায় পুলিশ জানতে পেরেছে, মর্গের কর্মীদের গাফিলতি ছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তে এমনটাই মনে পড়ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ঘরে পড়ে স্ত্রীর রক্তমাখা দেহ, গাছে ঝুলছে স্বামীর দেহ, অষ্টমীর সকালে চাঞ্চল্য

কীভাবে হাসপাতালের মর্গ থেকে বন্দির দেহ উধাওয়ের সঙ্গে কারা জড়িত বা কাদের গাফিলতি রয়েছে? তা জানতে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে কর্মীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার এবং মর্গের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বন্দির কী ধরনের চিকিৎসা করা হচ্ছিল? সে বিষয়টিও পুলিশের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এই পাশাপাশি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ এবং জেলের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ চেয়ে পাঠিয়েছে।  

প্রসঙ্গত, বাবলু পোল্লের দেহ নিখোঁজ হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাতে জানা যায়, মহেশতলার বাসিন্দা অভিজিৎ মজুমদারের দেহের পরিবর্তে বাবলু পোল্লের দেহ দিয়েছিলেন মর্গের কর্মীরা। এরপর অভিজিতের পরিবার দেহটি নিয়ে গিয়ে দাহ করে। এদিকে, শুক্রবার অভিজিতের পরিবার দেহ শনাক্ত করেছে। তবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এখনই দেহ পরিবারকে দেওয়া হবে না। তার আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অভিজিতের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ডিএনএ মিললে তবেই দেহ তুলে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বাবলু পোল্লে। এরপর ১১ বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন তিনি। গত ২০ অক্টোবর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর থেকে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয় বাবলুর দেহ। মৃত্যুর তদন্ত খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে বাবলু পোল্লের দেহ নেই। তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। পরে বন্দির পরিবার ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এই ঘটনায় মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এ ক্ষেত্রে যেমন বন্দির মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছে আবার দেহ উধাও নিয়েও তদন্ত চলছে।  তদন্তকারীদের দাবি, দেহ না থাকায় মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে না। এর পাশাপাশি দেহ উধাওয়ের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই কারণে চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের একাধিক কর্মী অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here