[ad_1]
সাগরদত্ত হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব হওয়া মদন মিত্রের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। মদনকে ‘সাহসী’ বলে প্রশংসাও করেছেন দিলীপ।
বুধবার সকালে খড়্গপুর শহরে একটি চা চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মদন মিত্র আগেও দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন সরকারি হাসপাতালে দালালরাজ চলছে। উনি সাহস করে বলছেন।’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘সাধারণ মানুষ জানে হাসাপাতালে গিয়ে তাদের কী ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বেড পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে মানুষ বিনামূল্যে পরিষেবা পায়। কিন্তু দালালরাজের জন্য মানুষ আউটডোরের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
এর পর তিনি কামারহাটির বিধায়কের প্রশংসা করে বলেন, ‘তৃণমূল বিধায়কই হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে বলছেন। কেউ কোনও কথা শুনছে না।’
(পড়তে পারেন। প্যাকেট বন্দি ৫০ হাজার চিঠি নিয়ে দিল্লি যাবে TMC, জমা হচ্ছে অভিষেকের অফিসে)
দিনকয়েক আগেই কামারহাটির বিধায়ক অভিযোগ তোলেন, সাগর দত্ত হাসপাতালে আইসিসিইউ’র জন্য ৬০০০ টাকা, রক্তের জন্য ১৭০০ টাকা দর হাঁকানো হচ্ছে। অভিযোগ, এক রোগীকে ভর্তি করার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে সিসিইউ’র বেডের জন্য ৬ হাজার টাকা এবং রক্তের জন্য ১৭০০ টাকা দাবি করেছে দালালরা।
মদন মিত্র বলেন, ‘প্রত্যেকদিন রাতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্ত বিক্রি হয়। এই র্যাকেটের পিছনে কারা রয়েছে, সেটা বের করার জন্য পুলিশের কাছে বলব। অভিযুক্ত দালালের পরিচয় আমরা ৯০ শতাংশ পেয়ে গিয়েছি। আমি কথা দিলাম, এটাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের শেষ দালালরাজ। এরপর যদি আর একটা দালালকে ধরতে পারি, প্রথমেই আমার এলাকার মানুষকে বলব মারবেন না। শুধু পুলিশে দেওয়ার আগে একবার আমাদের হাতে দেবেন।’
তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করা নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন, আর তাতে জল ঢালছেল এক দালাল। প্রসঙ্গত, এর আগেও এসএসকেএমেও রাতের পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মদন।