Home আপডেট Drugs in juice: জুসে মাদক মিশিয়ে ৩ জনের সর্বস্ব লুট, চন্দননগর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

Drugs in juice: জুসে মাদক মিশিয়ে ৩ জনের সর্বস্ব লুট, চন্দননগর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

Drugs in juice: জুসে মাদক মিশিয়ে ৩ জনের সর্বস্ব লুট, চন্দননগর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

[ad_1]

ফলের জুসে মাদক মিশিয়ে ৩ ব্যক্তির সর্বস্ব লুট করে নিল দুষ্কৃতীরা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর হাসপাতালে। প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য প্রচুর রোগী এবং রোগী পরিজন দূর-দূরান্ত থেকে এই হাসপাতালে আসেন। সে ক্ষেত্রে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্য রোগী এবং রোগী পরিজনদের মধ্যে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। হরিপালের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ ওলিউল্লাহ, শ্রীমন্ত সিংহ এবং ডানকুনির বাসিন্দা আইজুল মল্লিকের সর্বস্ব লুট হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম লুট করার চেষ্টা, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ২১ লক্ষ টাকা

জানা গিয়েছে, এই ৩ জনের আত্মীয় পরিজনরা চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কারও সন্তান ভর্তি রয়েছে, আবার কারও মা অথবা স্ত্রী ভর্তি রয়েছেন ওই হাসপাতালে। তারফলে সোমবার রাতে তারা হাসপাতাল চত্বরে ছিলেন। অভিযোগ, রাতে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাদের কাছে এসে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। এরপর গল্প করতে করতেই তার কাছে বোতলে থাকা জুস বাকিদের খেতে বলেন ওই ব্যক্তি। তখন ওলিউল্লাহ ও শ্রীমন্ত সেই বোতলে চুমুক দেন। পাশেই ঘুমিয়ে ছিলেন আইজুল। তাঁকেও পানীয় খেতে বলেন ওই ব্যক্তি। আর সেই জুস খাওয়ার পরেই ঘটে বিপত্তি। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা বেহুঁশ হয়ে পড়েন। পরে সকালে উঠে দেখেন মোবাইল, নগদ টাকা সবকিছু গায়েব। তখন আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এদিকে, সকালে ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান ওলিউল্লাহ। ঘটনায় তাঁর মাথা কেটে যায়। এরপর হাসপাতালেই তার চিকিৎসা হয়।

ওলিউল্লাহ জানান, তিনি রোজা রেখেছিলেন। জুস খাওয়ার পর একেবারে সকালে তাঁর ঘুম ভাঙে। তখন উঠে দেখেন যে তাঁর মোবাইল, নগদ টাকা সব গায়েব। এমন ধরনের ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা থাকা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিনের ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালে জরুরি বিভাগ এবং অন্যান্য ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ঠিকই তবে নতুন অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে কোনও ক্যামেরা নেই। তাছাড়া হাসপাতালের প্রবেশপথে সিসিটিভি নেই। এছাড়া কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নেই। ফলে এই অবস্থায় এত বড় একটি হাসপাতাল একেবারে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। অভিযোগ, অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে হাসপাতালে আসেন। তখন রোগী পরিজনরা যেমন দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন তেমনি কষ্টের মধ্যে রাত কাটাতে হয়। কিন্তু, নিরাপত্তা না থাকায় তাদের এখন সর্বস্ব খোয়াতে হল। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here