[ad_1]
মিষ্টির গোডাউনে গ্যাস লিক করে দুর্গাপুর থানা এলাকায় স্টিল টাউনশিপে দুজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ছ’জন কর্মী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। রাতে ওই ৮ শ্রমিক গোডাউনে ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই গ্যাস লিক করে বলে জানা গিয়েছে। গোডাউনের দরজা ভেঙে সবাইকে উদ্ধার করা হয়।
বড়দিনের আগে রাতে মিষ্টির দোকানের পিছনে ঘুমোচ্ছিলেন ওই কর্মীরা। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। সেই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করে। সেই সময় গভীর ঘুরে আচ্ছন্ন ছিলেন শ্রমিকরা। মাঝরাতে হঠাৎ শ্বাস নিতে সমস্যা হলে এক শ্রমিক দোকানের মালিক মিলন মণ্ডলকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে গোডাউনে ছুটে আসেন দোকান মালিক। তিনি গোডাউনের দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন। দরজা না খোলায় তা ভাঙতে বাধ্য হন মিলন।
মিলন মণ্ডল বলেন, ‘ফোন পাওয়ার পর ছুটে আসি। ১০-১৫ মিনিট ধরে দরজা ধাক্কা দেওয়ার পর না খোলায় তা ভেঙে ফেলতে হয়। যিনি আমায় ফোন করেন তাঁকে দেখি অচেতন অবস্থায় দরজার সামনে পড়ে আছেন। ’
সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ২ জনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকি ৬ জন হাসাপালে চিকিৎসাধীন।
(পড়ুন। চারদিকে বাঘের পায়ের ছাপ, এই বোধহয় লাফিয়ে পড়ে! বড়দিনে আতঙ্কে কাঁটা বাংলার গ্রাম)
মৃত দুই কর্মীর নাম অতনু রুইদাস (২২) এবং বিধান মণ্ডল (২১)। কারিগরদের সকলেই বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা।
পুলিশের অনুমান, গ্যাস ঘরে ছড়িয়ে পড়লে দম বন্ধ হয়ে যায় দোকানের কর্মীদের। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তবে রান্নার গ্যাস লিক হয়েছে বলে মনে করেছ না পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে বলেন, ‘সম্ভবত মিষ্টির দোকানের যে উনুনে রাতের দিকে কয়লা দিয়ে রাখা হয়, তার বিষাক্ত ধোঁয়া থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।’