[ad_1]
তিন কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে তৃণমূল কার্যালয়। কোথা থেকে এল সেই টাকা তা জানতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারকে দিল্লিতে তলব করল ইডি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই কাউন্সিলার ছাড়া আরও চারজনকে তলব করা হয়েছে।
বীরভূমের বোলপুরের একটি তৃণমূল কার্যালয় সম্প্রতি ইডি স্ক্যানারে আসে। যে কার্যলয়ে বসতেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই কার্যালয় ঘিরে নানা প্রশ্ন অনেক আগে থেকে ছিল। ওই কার্যালয়ের তিনতলার ঘরে সর্বত্র এসি লাগানো। এছাড়া মেঝেতে মার্বেল, ফলস সিলিং, সারা বাড়ি জুড়ে লাগানো সিসিটিভি।
কাউন্সিলার-সহ চারজনকে তলব
বিপুল ব্যয়ে তৈরি এই কার্যালয়ের টাকা কোথা থেকে এসেছে তা জানতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার ২২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিবনাথ রায় ওরফে ক্যাবলা তলব করেছে ইডি। এর সঙ্গে বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কোনও যোগ আছে কিনা তাও জানতে চায় ইডি। তাঁর সঙ্গে আরও ৩ জনকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই চারজনও অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলে খবর।
(পড়ুন। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকদের সম্পত্তি বৃদ্ধির যোগ? আয়ের উৎস কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট)
আগেও তলব
প্রসঙ্গত, এর আগেও অক্টোবর মাসে শিবনাথ রায়-সহ চারজনকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলর সময় চান।
এ প্রসঙ্গে শিবনাথ বলেন, ‘আগে নোটিশ পাওয়ার পর হাতে সময় ছিল না তাই হাজিরা দিতে পারিনি। বাড়তি সময় চেয়ে ইডির কাছে আবেদন করেছিলাম।’ তিনি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
(পড়ুন। অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতরের নোটিশ, তিহাড়ে বন্দি কেষ্ট)
ব্যক্তিগত মালিকানা থেকে ট্রাস্ট
বোলপুরের ওই দলীয় কার্যলয়টি শিবনাথ রায় ও বোলপুর পুরসভার তিন কর্মীর নামে কেনা হয়। পরে অনুব্রত মণ্ডল একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন। সেই ট্রাস্টের নামে কার্যালয়ের মালিকানা হস্তান্তর হয়। কাউন্সিলরকে সেই সব নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আগের তলবে হাজিরা এড়ালেও এবার কাউন্সিলর-সহ পাঁচজন দিল্লি যাবেন। তাঁরা ইডির প্রশ্নবানের মুখোমুখী হবেন বলেই জানা গিয়েছে।