২০১৫ সালে ফাইনালে হারের যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি, পরের বছর লিগপর্বে সবার শেষে শেষ করা । হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এফসি গোয়ার টানা দুবছরের হতাশার ছবিটা যেন বদলে দিল সের্খিও লোবেরার দলের আক্রমণাত্মক ফুটবল।
এফসি গোয়া ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি।সেমিফাইনালে হেরে গেলেও গোয়ার ফুটবলপ্রেমীদের মন নতুন করে জিতে নিয়েছে তাদের এবারের পারফরম্যান্স।
গোয়ায় ফুটবল যে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, সন্দেহ ছিল না। ২০১৪ সালে হিরো আইএসএল শুরুর সময় থেকেই এফসি গোয়ার পেছনে ছিল গোয়ার মানু্ষের সমর্থন।
প্রথমবার সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয়বার আরও একধাপ উঠেছিল গোয়া, ব্রাজিলের কিংবদন্তি জিকোর প্রশিক্ষণে। কিন্তু স্তিভেন মেনডোজা আর চেন্নাইয়িন এফসি, একেবারে শেষ মুহূর্তে ছিনিয়ে নিয়েছিল সেই ট্রফি, ২০১৫ সালে।
সবচেয়ে খারাপ গিয়েছিল তৃতীয় মরসুম ২০১৬ সালে। আবেগপ্রবণ গোয়ার সমর্থকরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি লিগ তালিকায় সর্বশেষ স্থান।
২০১৭-১৮ মরসুম তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল গোয়ার কাছে, নিজেদের হৃত সম্মান পুনরুদ্ধার এবং সমর্থকদের আস্থা ও ভালবাসা ফিরিয়ে আনার জন্য। লোবেরা হয়ত খেতাব এনে দিতে পারেননি, কিন্তু সফল হয়েছেন দ্বিতীয় কাজে। চারবারের আইএসএল ইতিহাসে তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছনো কম কৃতিত্ব হতে পারে না।
তাঁর দল এবারের চতুর্থ হিরো আইএসএল-এ সবচেয়ে বেশি গোল করেছে – ২০ ম্যাচে ৪৩ গোল। স্পেনীয় ফেরান কোরোমিনাস এবং মানুয়েল লানজারোতের জুটিতেই এসেছিল অবিশ্বাস্য ৩১ গোল।