জানেন কি, আগামীদিনে ব্যাঙ্কক হতে চলেছে কোলকাতা! জানতে ক্লিক করুন……

0
জানেন কি, আগামীদিনে ব্যাঙ্কক হতে চলেছে কোলকাতা! জানতে ক্লিক করুন……

ওয়েব ডেস্কঃ  ” ভাসমান বাজার “ বললে মনে পড়ে যায় সেই কাশ্মীর, ব্যাঙ্কক- না, শুধু তাই না, বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের ভাসমান পেয়ারা বাজার। চারিদিকে জল, মুক্ত আকাশের নীচে নৌকার সমারোহ, আর পাটাতনের সমন্বয়। এটা ওটা কেনাকাটা করার জন্য উৎসুক হয় মন। আর সনাতনী সেই পাটাতনে বসে ঈশ্বরী পাটনী যেন মা অন্নপূর্ণার কাছে চেয়ে নিচ্ছেন ” মা, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে “। মুখ্যতঃ পরিবারের মুখে অন্নতুলে দিতেই এতো পশরা সাজানো।

Image result for floating market kolkata
 এতো গুলি কথা বললাম ঠিকই, কিন্তু এবার যে পাঠক মনে লোভ বাড়বে আর মন বলবে ইসস, এটা যদি আমার জায়গায় হতো, কতো ভালোই না হতো। তাই এবার কথা দিচ্ছি এখন যা বলব, মন আনন্দে ভরে উঠবে। কারণ আর কাশ্মীরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, এবার  স্বয়ং ব্যাঙ্ককের আদলে  ভাসমান বাজার   তৈরী হচ্ছে কলকাতায় ।
Image result for ভাসমান বাজার কলকাতা

তবে জায়গা কোথায়? পাটুলি, কলকাতা।  তবে এটা কিন্তু ঝিল। যে ঝিল একসময় পচা জলের উন্মুক্ত অবয়ব ছিল আজ সেখানে নৌকা বাজার গড়ে উঠতে চলেছে। যেখানে অনায়াসে  মিলবে শাক সবজি আর মাছ। কাজ কিন্তু শেষের দিকে, কেন এতো তাড়াতাড়ি? হবে নাই বা কেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে চলেছে এই এই প্রকল্পের সূচনা, আর সৌজন্য জানাই পৌরসভা।
The work of floating market at Patuli pauses due to boat issues

                                            ….পাটুলির এই ডোবাতেই তৈরি হচ্ছে প্রথম ভাসমান বাজার….

কিন্তু কোন কাজ তো এমনিতে শুরু হয় না, তার জন্য পশ্চাতে কিছু একটা কারণ থাকে। এতো তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত কেন? সময়টা ২০১৩, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চলেছেন ব্যাঙ্ককে ছুটি কাটাতে। ওখানে এই ভাসমান বাজার দেখে তাকে হাতে পেতেই শুরু হলো তোড়জোড়। তবে ২২৫ জনের আবাসন হবে কি করে। এতো জমি কোথায়? আরে তাই তো বেছে নেওয়া হলো পাটুলির ঝিল। জানেন কি, বৈষ্ণবঘাটার উপনগরী নিকাশির জল জমা হত সেই ঝিলই যা আজ সেজে উঠছে ব্যাঙ্ককের সাজে।
Pond
বাজারে থাকবে ১১৪টি নৌকা। গোটা ঝিলে পাটাতন ঘেরা।প্রকল্পের খরচ সাড়ে ৯ কোটি টাকার। বাজারের কাছ ঘেঁষে থাকছে ক্যাফেটেরিয়া, সুলভ শৌচালয়। পুকুরের জলে ছাড়া থাকবে নানা ধরনের মাছ। আচ্ছা এটাও তো ঠিক যে, বসার জায়গা থাকবে না? নিশ্চয় থাকবে। সকাল আর রাত্রি, দুবেলাতেই বাজার খোলা।
Related image

বহু বছর ধরে মার খাচ্ছিল নৌকা গড়ার কাজ। কিন্তু এখানে, আবার নতুন করে শুরু হলো এই শিল্প। বরাত খুলে গেল হুগলির বলাগড়ের, কারণ, দায়িত্বটা সে পেল। তবে আর দেরী কিসের, তাই না। বেড়াতে যেতে কে না ভালোবাসে। একঢিলে দুই পাখি মারতে আর দেরী নেই, রথ দেখা আর কলা বেচা একসাথে। হাতের মুঠোয় পাটুলির ভাসমান বাজার, কাশ্মীর তথা ব্যাঙ্কক আজ নিজের সাধ্যির মধ্যে নিজের জায়গায়।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here