ওয়েব ডেস্কঃ ” ভাসমান বাজার “ বললে মনে পড়ে যায় সেই কাশ্মীর, ব্যাঙ্কক- না, শুধু তাই না, বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের ভাসমান পেয়ারা বাজার। চারিদিকে জল, মুক্ত আকাশের নীচে নৌকার সমারোহ, আর পাটাতনের সমন্বয়। এটা ওটা কেনাকাটা করার জন্য উৎসুক হয় মন। আর সনাতনী সেই পাটাতনে বসে ঈশ্বরী পাটনী যেন মা অন্নপূর্ণার কাছে চেয়ে নিচ্ছেন ” মা, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে “। মুখ্যতঃ পরিবারের মুখে অন্নতুলে দিতেই এতো পশরা সাজানো।
তবে জায়গা কোথায়? পাটুলি, কলকাতা। তবে এটা কিন্তু ঝিল। যে ঝিল একসময় পচা জলের উন্মুক্ত অবয়ব ছিল আজ সেখানে নৌকা বাজার গড়ে উঠতে চলেছে। যেখানে অনায়াসে মিলবে শাক সবজি আর মাছ। কাজ কিন্তু শেষের দিকে, কেন এতো তাড়াতাড়ি? হবে নাই বা কেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে চলেছে এই এই প্রকল্পের সূচনা, আর সৌজন্য জানাই পৌরসভা।
….পাটুলির এই ডোবাতেই তৈরি হচ্ছে প্রথম ভাসমান বাজার….
বহু বছর ধরে মার খাচ্ছিল নৌকা গড়ার কাজ। কিন্তু এখানে, আবার নতুন করে শুরু হলো এই শিল্প। বরাত খুলে গেল হুগলির বলাগড়ের, কারণ, দায়িত্বটা সে পেল। তবে আর দেরী কিসের, তাই না। বেড়াতে যেতে কে না ভালোবাসে। একঢিলে দুই পাখি মারতে আর দেরী নেই, রথ দেখা আর কলা বেচা একসাথে। হাতের মুঠোয় পাটুলির ভাসমান বাজার, কাশ্মীর তথা ব্যাঙ্কক আজ নিজের সাধ্যির মধ্যে নিজের জায়গায়।