গত এক বছরে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ একলাফে ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে পৌঁছে গিয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সম্প্রতি, একটি বিদেশি সংস্থার সমীক্ষা চালানো বিলিয়নেয়ার সূচকে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।
বন্দর থেকে বিদ্যুৎ– বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে গৌতম আদানির। গত এক বছরের সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখে জেফ বেজোস ও এলন মাস্ককেও ছাপিয়ে গিয়েছেন এই শিল্পপতি।
একটি বাদে আদানি গোষ্ঠীর সবকটি শেয়ারের মূল্য গত এক বছরে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরে আদানির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানির গোষ্ঠী ৮.১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৩৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাপকহারে ব্যবসায় প্রসার ঘটিয়েছে আদানি-গোষ্ঠী। বন্দর থেকে বিমানবন্দর, ডেটা সেন্টার থেকে কয়লা খনি– সর্বত্র বিরাজমান শিল্পপতির সংস্থা। সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত কার্মাইকেল কয়লা খনিও নিয়েছে এই সংস্থা।
গত এক বছরে, আদানি টোটাল গ্যাসের ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬ শতাংশ। মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের বৃদ্ধি ৯০ শতাংশ, আদানি ট্রান্সমিশনের বৃদ্ধি ৭৯ শতাংশ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন লিমিটেডের বৃদ্ধির পরিমাণ ৫২ শতাংশ। আদানি গ্রিন এনার্জির বৃদ্ধি ১২ শতাংশ। তবে, গত বছর শেষোক্ত সংস্থার বৃদ্ধি পেয়েছিল ৫০০ শতাংশের বেশি।